বিএনপির পর জামায়াতের রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘিরে নাশকতা মোকাবেলায় সাতক্ষীরায় সতর্ক অবস্থায় রয়েছে পুলিশ। সাতক্ষীরার গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোতে পুলিশের বাড়তি উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শনিবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা থেকেই নাশকতা মোকাবেলায় সাতক্ষীরার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর এলাকায় পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য লক্ষ্য করা গেছে। তবে শনিবার রাত পর্যন্ত জেলায় কোথাও কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বিজ্ঞাপন
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হরতাল উপলক্ষে বিক্ষোভ কিংবা যেকোন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ঠেকাতে জেলার বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান পিপিএম বলেন, সাতক্ষীরায় হরতালে কোন ক্ষয়ক্ষতি সম্ভাবনা নেই। জনগণের নিরাপত্তা ও জানমালের জন্য হুমকি এমন যেকোন কর্মসূচি সাতক্ষীরাতে হতে দেয়া হবে না। হরতালে যারা নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করবে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। হরতালের সমর্থনে বিক্ষোভ কিংবা ভাঙচুর, জ্বালাও-পোড়াও করলে তা শক্ত হাতে দমন করা হবে। সেজন্য শনিবার সন্ধ্যা থেকেই সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক অবস্থানে রয়েছে পুলিশ।
তিনি আরও বলেন, আমি বিগত ১৩-১৪ সালে নাশকতার সময় সাতক্ষীরায় কাজ করেছি। এজন্য দুষ্কৃতিকারীদের কিভাবে দমন করতে হয় এমন অভিজ্ঞতা আমার আছে। এজন্য জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং স্থাপনার নিরাপত্তা বিধানে অতিরিক্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নেয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা। জ্বালাও-পোড়াও যাতে না হয় সেজন্য জেলা পুলিশের সবকটি ইউনিট কাজ করছে।
অন্যদিকে হরতাল কর্মসূচিকে ঘিরে সাতক্ষীরায় যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা রোধে সতর্ক অবস্থানে থাকার কথা জানিয়েছে এলিট ফোর্স র্যাব।
বিজ্ঞাপন
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব-৬) সাতক্ষীরা ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি নাজমুল বলেন, সাতক্ষীরাতে যেকোন ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে র্যাব-৬ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। র্যাবের টহল টিম কাজ করছে। নিয়মিত টহলের পাশাপাশি নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে।