শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ঢাকা

রাজধানীতে তিন বাসে আগুন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৩০ পিএম

শেয়ার করুন:

রাজধানীতে তিন বাসে আগুন
কাকরাইলে একটি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। ছবি: ঢাকা মেইল

রাজধানীতে দিনভর বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষের পর বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে অন্তত তিনটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে হঠাৎ রাজধানীর কাকরাইলে একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। কে বা কারা আগুন দিয়েছে তা নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। বাসটি পুলিশকে আনা-নেওয়ার কাজে ব্যবহার হতো বলে জানিয়েছেন চালক মনির হোসেন।


বিজ্ঞাপন


বিকেল সোয়া ৫টার দিকে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বাসটিতে হঠাৎ আগুন লাগার পর দাউদাউ করে জ্বলতে দেখা যায়। বাসের আগুন উপরে থাকা বিদ্যুতের তারেও ছড়িয়ে পড়ার উপক্রম হয়।

পুলিশের রমনা থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, দুর্বৃত্তরা বাসটিতে আগুন দিয়ে পালিয়েছে।

এদিকে বাসটিতে আগুন লাগার পর পাশেই রাস্তায় বসে কাঁদতে থাকেন চালক মনির হোসেন। তিনি বলেন, আজকে পুলিশ সদস্যদের আনা–নেওয়ার জন্য বাসটি নিয়োজিত ছিল। বাসে একদল পুলিশ সদস্যকে নিয়ে বিকেল ৫টার সময় তিনি এখানে আসেন। পুলিশ সদস্যরা নেমে যাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে বাসে আগুন দেওয়া হয়।

Bus2


বিজ্ঞাপন


ঘটনা সম্পর্কে মনির হোসেন বলেন, হঠাৎ দুইজন যুবক এসে বাসে পেট্রোল ছিটিয়ে ম্যাচের কাঠি দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই পুরো বাস জ্বলতে থাকে। আগুন দেওয়ার পর ওই দুই যুবক মোটরসাইকেলে করে কাকরাইল মোড় দিয়ে চলে যায়।

এদিকে বিকেল চারচার দিকে মৌচাক ফ্লাইওভারে একটি বাসে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বলাকা পরিবহনের বাসটি ফ্লাইওভারের ওপর দিয়ে রামপুরা সড়কে যেতে চেয়েছিল। কিন্তু মৌচাক মোড়ের ঠিক ওপরে লাঠিসোঁটা হাতে একদল যুবক বাসটির গতিরোধ করে ভাঙচুর শুরু করেন। এ সময় বাসে থাকা যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে নেমে যান। একপর্যায়ে হামলাকারীরা বাসে ধরিয়ে আগুন দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছলেও ততক্ষণে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। 

এর আগে বিকেলে রাজধানীর কমলাপুরে একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এসময় গাড়িতে ভাঙচুরও চালায় তারা। 

BNP2

সরকার পতনের এক দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা বিএনপি ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ডাকে। পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে আওয়ামী লীগও সমাবেশের ডাক দেয়। এদিন জামায়াতে ইসলামীও সমাবেশের ঘোষণা দেয়। দুই দলকে সমাবেশের অনুমতি দিলেও জামায়াতকে অনুমতি দেয়নি ডিএমপি। 

সকাল থেকে রাজধানীতে উত্তেজনা থাকলেও অনেকটা শান্তিপূর্ণ ছিল পরিস্থিতি। তবে বেলা ১২টার পর থেকে পরিস্থিতি পাল্টাতে থাকে। পুলিশ এবং ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় বিএনপির নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় রাজধানী। পুলিশের টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেডে ১৫ মিনিটের মধ্যে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের এক সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৪০ জন। বিএনপিরও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী আহত হন। এর প্রতিবাদে আগামীকাল সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি।  

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর