সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের বিক্ষোভ বিকেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫১ এএম

শেয়ার করুন:

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের বিক্ষোভ বিকেলে
গত শনিবার বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে সমাহিত করা হয় ওসমান হাদিকে।

জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সম্মুখসারির যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরীফ ওসমান হাদি হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ করবে সংগঠনটি।

সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় শাহবাগ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হবে। শহীদ মিনার পর্যন্ত হবে ইনকিলাব মঞ্চের মিছিল।


বিজ্ঞাপন


এর আগে নতুন কর্মসূচি ও দাবি নিয়ে দুপুর ১২টায় শাহবাগে সংবাদ সম্মেলন করবে সংগঠনটি।

রোববার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকে বলা হয়, ১০ লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতি ও উচ্চকিত সম্মতিতে ঘোষিত ইনকিলাব মঞ্চের দুই দফা দাবির এক দফাও মানা হয়নি।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সহ-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থেকে ব্যাখ্যা দেয়নি। হাসিনার চরদের গ্রেফতার করা হয়নি। অতিরিক্ত আইজিপিকে দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করিয়ে শহীদ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনাকে তুচ্ছ ও অগুরুত্বপূর্ণ দেখানো হয়েছে।

এরপর রোববার রাত ১০টা ৫৪ মিনিটে ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজ থেকে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর রাত সোয়া ১১টার দিকে দেওয়া আরেকটি স্ট্যাটাসে সংগঠনটি জানায়, ‘খুনিকে দ্রুত জীবিত গ্রেফতার চাই, বন্দুকযুদ্ধের কোনো নাটক দেখতে চাই না।’


বিজ্ঞাপন


ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় মোটরসাইকেলে আসা দুই সন্ত্রাসীর গুলিতে মারাত্মক আহত হন ওসমান হাদি। রিকশায় থাকা অবস্থায় তার মাথায় গুলি লাগে। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, পরে অবস্থার অবনতি হলে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানো হলে সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মৃত্যু হয় তার।

গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আনা হয় ওসমান হাদির মরদেহ। সেখান থেকে সরাসরি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হিমঘরে নেওয়া হয় লাশ।

শনিবার সেখান থেকে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ নেওয়া হয় সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ নেওয়া হয় জাতীয় সংসদ সংলগ্ন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। জানাজার পর মরদেহ নেওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানেই সমাহিত করা হয় বিপ্লবী এই তরুণকে।

হাদিকে হত্যাচেষ্টার ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের পল্টন থানায় একটি মামলা করেছিলেন। হাদির মৃত্যুর পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হয়।

এমআর/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর