ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর গুলিবর্ষণকে সরাসরি নির্বাচন বানচালের চক্রান্ত হিসেবে অভিযোগ করেছেন জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল। তিনি বলেন, তফসিল ঘোষণার পরদিনই এক সম্ভাব্য প্রার্থীর ওপর এমন টার্গেটেড হামলা গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে থামিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্রেরই অংশ।
শুক্রবার রাতে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইটে ওসমান হাদিকে হত্যার উদ্দেশ্যে সংঘটিত হামলার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ জামায়াত আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল।
বিজ্ঞাপন
বুলবুল বলেন, ‘এই হামলা জুলাই যোদ্ধাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা ছাড়া আর কিছু নয়। দিনের আলোয় একটি গুরুত্বপূর্ণ নেতার ওপর এভাবে নৃশংস হামলা কীভাবে ঘটে—তা প্রশাসনকে পরিষ্কার করতে হবে। এতে প্রমাণ হয় দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা কতটা নাজুক।’
বুলবুল অভিযোগ করেন, প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসি নানা বিষয়ে কঠোর ভাষায় কথা বললেও একজন সম্ভাব্য প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। ‘ওসমান হাদীর মতো একজন নেতার নিরাপত্তাই যদি ঝুঁকিতে পড়ে, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কী অবস্থায় আছে—তা বলার অপেক্ষা রাখে না,’ বলেন বুলবুল। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যথায় জনগণ রাজপথে নামতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
সন্ত্রাসীদের দমনে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে চিরুনি অভিযান চালানোর আহ্বান জানান তিনি। বলেন, ‘ওসমান হাদীদের নেতৃত্বে জাতি যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছে, সেখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব চলতে দেওয়া যায় না। সন্ত্রাসীদের রুখে দিতে আরেকটি অভ্যুত্থানের প্রস্তুতি নিতে হবে।’ পাশাপাশি তিনি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য প্রার্থীদের অবিলম্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান এবং হামলার পরিকল্পনাকারী ও গডফাদারদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার আহ্বান করেন।
কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য দেন ড. হেলাল উদ্দিন, ড. আব্দুল মান্নান, শামসুর রহমান, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগরী দক্ষিণের সভাপতি আব্দুস সালাম, কর্মপরিষদ সদস্য সৈয়দ জয়নুল আবেদীন, কামরুল আহসান হাসান, পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমেদ খান ও শাজাহানপুর থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
বিজ্ঞাপন
সমাবেশ শেষে বায়তুল মোকাররম উত্তর গেইট থেকে এক বিশাল প্রতিবাদ মিছিল বের হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
টিএই/ক.ম
































































