সন্ত্রাসী হামলা করে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে একত্রিত হচ্ছেন দেশের বিভিন্ন স্তরের শ্রেণী পেশার মানুষ। এ সময় সবাই ‘নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দিয়ে প্রকম্পিত করছেন শাহবাগ চত্বর।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ৯টার দিকে ওসমান হাদির শাহাদাতবরণের পর পরই প্রতিবাদে শাহবাগে জড়ো হতে থাকে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ। একপর্যায়ে লোকারণ্য হয়ে উঠে শাহবাগে, বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। এই প্রতিবাদ লিখা রাত তিনটা ৪১ মিনিটেও পর্যন্ত ছাত্রজনতা শাহবাগ মোড় ব্লক করে রেখেছেন।
বিজ্ঞাপন
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহবাগ মোড়ে বড় বড় মিছিল নিয়ে আসছেন ছাত্রজনতা। সাইন্সল্যাব মোড় থেকে বড় মিছিল নিয়ে আসেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা, টিএসসি থেকে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রজনতা। এ ছাড়া কারওয়ান বাজার ও মৎস্য ভবন মোড় থেকে বড় মিছিল নিয়ে কিছুক্ষণ পর পর ছাত্রজনতা ও আলেমরা আসছেন
এসময় ছাত্রজনতা ‘নারায়ে তাকবীর, আল্লাহু আকবর’, ‘হাদি পথ ধর, সেভেন সিস্টার্স স্বাধীন কর’, ’দিল্লির আগ্রাসন ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘আমার ভাই করবে, খুনি কেন ভারতে’, ‘আমরা সবাই হাদি হবো, গুলির মুখে কথা কবো’, ‘যেই ভারত মানুষ মারে, সেই ভারত ভেঙে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দেন।
এর আগে হাদির মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরো সার্জন ও হাদির চিকিৎসায় যুক্ত ডা. আব্দুল আহাদ। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের নিউরো সার্জিক্যাল টিম তার মৃত্যুর বিষয়টি জানিয়েছে। বাংলাদেশ সময় সাড়ে নয়টার দিকে হাদি মারা যান বলেও জানান তিনি।
ওসমান হাদির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ ও ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদিকে আল্লাহ শহিদ হিসেবে কবুল করেছেন।’
বিজ্ঞাপন
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়।
ওইদিন মোটরসাইকেলে করে এসে দুইজন তাকে খুব কাছ থেকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানা যায়, গুলি ওসমান হাদির মাথার ডান দিক থেকে ঢুকে বাম পাশ দিয়ে বের হয়ে গেছে, তবে অংশবিশেষ এখনও তার ব্রেনে রয়েছে।
এসএইচ














































































































