শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

এভারকেয়ারে বেগম খালেদা জিয়া ও হাদির খোঁজ নিলেন মির্জা ফখরুল

ঢাকা মেইল ডেস্ক
প্রকাশিত: ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৬ এএম

শেয়ার করুন:

এভারকেয়ারে বেগম খালেদা জিয়া ও হাদির খোঁজ নিলেন মির্জা ফখরুল

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে দেখতে গিয়েছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শুক্রবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের দিকে হাদির সঙ্গে এ দেখা করতে যান তিনি। এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নেন মির্জা ফখরুল।


বিজ্ঞাপন


বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর রাত ১১টা ২০ মিনিটে একই হাসপাতালে (এভারকেয়ার) গুলিবিদ্ধ ইনকিলাব মঞ্চ মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদিকে দেখতে যান বিএনপির মহাসচিব।  

এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

এরআগে শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর বিজয়নগরের বক্স কালভার্ট রোড এলাকায় ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। ঘটনার সময় তিনি রিকশায় করে যাচ্ছিলেন। তখন হঠাৎ একটি মোটরসাইকেল থেকে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। কে বা কারা গুলি ছুঁড়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারেনি পুলিশ।
 
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার পর দিকে ঢাকা মেডিকেলে ওসমান হাদির অপারেশন সম্পন্ন হয়। শরীরিক অবস্থা স্থিতিশীল হলে পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারের জন্য হাদিকে সন্ধ্যা ৭টার পর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়।  


বিজ্ঞাপন


হাদিকে গুলির ঘটনায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা অবিলম্বে হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন।

এদিকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান জানান, মাথায় গুলিবিদ্ধ শরিফ ওসমান হাদির অবস্থা অত্যন্ত সংকটাপন্ন। তার বাম কানের ওপর দিয়ে ঢুকে ডান দিক দিয়ে বেরিয়ে যাওয়া বুলেট মস্তিষ্কের কাণ্ড বা ব্রেন স্টেম পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত করেছে, যা চিকিৎসাবিজ্ঞানে ‘ম্যাসিভ ব্রেন ইনজুরি’ হিসেবে বিবেচিত। আগামী ৭২ ঘণ্টা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, আর এ অবস্থায় কোনো ধরনের নতুন ইন্টারভেনশন করা হবে না।

এমএইচআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর