আগামীতে প্রতিবছর দেশে ২০০টি করে কৈশোরবান্ধব কর্নার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদের ডা. স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদে বাজেটে অধিবেশন বক্তৃতায় এ কথা জানান তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, পরিবার-পরিকল্পনা সেবা সহজীকরণসহ মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য আমরা বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছি। ইউনিয়ন পর্যায়ে দক্ষ ধাত্রী ও মিডওয়াইফের মাধ্যমে নিরাপদ প্রসবসেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রশিক্ষণ ও সেবা গ্রহীতাদের সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। ৫০০টি এফডব্লিউসিকে (ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার সেন্টার) মডেল এফডব্লিউসি ঘোষণা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, কৈশোরকালীন জন্মহারকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নামিয়ে আনার উদ্দেশ্যে ২০১৭-২০৩০ সাল মেয়াদের জন্য একটি জাতীয় কৈশোর স্বাস্থ্য কৌশলপত্র অনুমোদিত হয়েছে। বর্তমানে এই বিষয়ে জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চলছে। বিভিন্ন সেবাকেন্দ্রে স্থাপিত ১ হাজার ১০৩টি কৈশোরবান্ধব কর্নারের মাধ্যমে জনগণকে সেবা প্রদান করা হচ্ছে। আগামীতে আমরা প্রতিবছর ২০০টি করে কৈশোরবান্ধব কর্নার স্থাপন করব।
এছাড়া ৫৯২টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র পুনর্নির্মাণ এবং জেলা শহরে বিদ্যমান মা ও শিশু কল্যাণকেন্দ্রকে মা ও শিশু হাসপাতালে রূপান্তর করা হচ্ছে। এ সকল হাসপাতালের মাধ্যমে পরিবার পরিকল্পনা, মাতৃস্বাস্থ্য, শিশুদের স্বাস্থ্যসেবাসহ অন্যান্য প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন রাখা সম্ভব হবে।
পাঁচ বছরের কমবয়সী অসুস্থ শিশুদের সঠিক চিকিৎসা প্রদানের জন্য ৪৮০টি উপজেলায় ফ্যাসিলিটি আইএমসিআই (ইন্টারগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট অব চাইল্ডহুড ইলনেস) ও পুষ্টি কর্নার সম্প্রসারণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও জানান, কমিউনিটি পর্যায়ে অসুস্থ শিশুদের চিকিৎসা প্রদানের উদ্দেশ্যে ৪২৫টি নতুন উপজেলায় কমিউনিটি আইএমসিআই বাড়ানো হয়েছে। নবজাতকের নাভিতে সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য ৭ দশমিক ১ শতাংশ ক্লোরহেক্সিডিন ব্যবহার করার কার্যক্রম ২০টি জেলায় সম্প্রসারণ করা হয়েছে। কম জন্ম ওজন/অপরিণত জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্য ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার সেবা (কেএমসি) কার্যক্রম বিদ্যমান ১৪২টি ফ্যাসিলিটির বাইরে নতুন ২৫টি স্বাস্থ্য স্থাপনায় চালু করা হচ্ছে।
এমআইকে/এইউ