পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ২৫ বছরের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই কথা জানান।
বিজ্ঞাপন
অর্থমন্ত্রী বলেন, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন ইত্যাদি পর্যটন কেন্দ্রে অপরিকল্পিতভাবে হোটেল-মোটেল নির্মাণ বন্ধ করা, পর্যটকদের ভ্রমণ পর্যটন কেন্দ্রের ধারণক্ষমতার মধ্যে রাখা, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে স্থানীয় জনগণ, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
এছাড়া পর্যটন খাতকে সমৃদ্ধ করতে আন্তর্জাতিকমানের আবাসন ও বিনোদন সুবিধা নিয়ে কক্সবাজারে সাবরাং ট্যুরিজম পার্ক, নাফ ট্যুরিজম পার্ক এবং সোনাদিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান মন্ত্রী।
জাতীয় শিল্পনীতি ২০২২ এ পর্যটনকে উল্লেখযোগ্য শিল্প হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতি এবং দেশীয় ও বিদেশি জনগণের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্যটন শিল্পকে পরিবেশবান্ধব, নিরাপদ ও টেকসই করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
এদিকে পর্যটন খাত সম্প্রসারণে উদ্যোগ নিলেও আগামী অর্থবছর (২০২৩-২৪) থেকে তারকা হোটেল নির্মাণে সংশ্লিষ্ট রেয়াতি প্রজ্ঞাপন বিলুপ্ত করা হচ্ছে। অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে দেশে বৃহৎ আকারের এবং উন্নতমানের হোটেল গড়ে উঠেছে। হোটেল শিল্পকে রেয়াতি সুবিধা প্রদানের জন্য প্রায় এক দশক আগে হোটেল নির্মাণ সংশ্লিষ্ট রেয়াতি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এ সুবিধায় ইতোমধ্যে অনেক হোটেল গড়ে ওঠায় বর্তমান প্রেক্ষাপটে রাজস্ব সুরক্ষার স্বার্থে এ খাতে শুল্ক কর অব্যাহতি চলমান রাখা অপ্রয়োজনীয় মর্মে প্রতীয়মান। তাই বিদ্যমান প্রজ্ঞাপনটি বিলুপ্ত করার প্রস্তাব করছি।
বিজ্ঞাপন
‘উন্নয়নের অভিযাত্রায় দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিমুখে’ শিরোনামে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। এর আকার ধরা হয়েছে সাত লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বাজেটে ঘাটতি ধরা হয়েছে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা।
এর আগে জাতীয় সংসদ ভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন করা হয়। তারপর রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন বাজেটে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করেন।
এমআইকে/জেবি