শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন অর্থমন্ত্রী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ জুন ২০২৩, ০৬:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ নিয়ে যে সতর্কবার্তা দিলেন অর্থমন্ত্রী

করোনার ধকল কাটতে না কাটতেই শুরু হয় ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। প্রায় দেড় বছর ধরে চলা এই যুদ্ধের কারণে টালমাটাল হয়ে পড়ে বিশ্ব অর্থনীতি। আগামী কয়েক মাসে এই যুদ্ধ আরও তীব্র হলে বিশ্ব অর্থনীতি অত্যন্ত বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৩–২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশকালে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান।


বিজ্ঞাপন


উদীয়মান সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় অর্থমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শিগগিরই থামার সম্ভাবনা খুব কম। সংঘাতের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রধান পণ্যসমূহের মূল্যবৃদ্ধির ফলে বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। যদিও পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়ালে এবং বিশ্ববাজারে পণ্যের দাম বাড়তে শুরু করলে ঊর্ধ্বমুখী মূল্যস্ফীতিও কমতে থাকে। এ প্রবণতা কিছুটা স্বস্তির উৎস হয়েছে, কিন্তু মধ্যমেয়াদে পরিস্থিতি স্থিতিশীল হবে কি না তা অনিশ্চিত।

মন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ব্যাপকতা ছড়িয়ে পড়লে তা হবে মানবজাতির জন্য অত্যন্ত বিপর্যয়কর। তবে যৌক্তিক প্রত্যাশা অনুযায়ী এ সংঘাত ততদূর গড়াবে না বলেই অনুমিত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে ধরে নেওয়া হয়েছে, যদিও ইউক্রেনের সহিংসতা আগামী বেশ কয়েক বছর ধরে চলতে পারে, তবে তা চরম সংঘাতপূর্ণ অবস্থায় রূপ নেবে না, এমনকি আলোচনার মাধ্যমে শান্তিও প্রতিষ্ঠিত হতে পারে।

মুস্তফা কামাল বলেন, রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও প্রাকৃতিক গ্যাস ও তেল রফতানি অব্যাহত রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে যুদ্ধের মাত্রা চরম আকারে না পৌঁছালে তেল, গ্যাস, সার ও শস্যের দাম আর বাড়বে না।

বাজেটে সরকারের লক্ষ্যের কথা জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, চলমান প্রণোদনা প্যাকেজ সফলভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার টেকসই করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, আমরা মহামারির প্রভাব পুরোপুরি কাটিয়ে উঠেছি। তাই এই বাজেটে আমাদের লক্ষ্য হবে-চলমান উদ্দীপনা প্যাকেজগুলো সফলভাবে বাস্তবায়ন করে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার বজায় রাখা।


বিজ্ঞাপন


অর্থমন্ত্রী বলেন, কোভিডের প্রভাবের কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধিও কমেছে ৩.৪৫ শতাংশ। তবে এই সময়ের মধ্যে, অন্যান্য বেশিরভাগ দেশেই প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক ছিল। আমাদের সরকার কোভিড পরিস্থিতিকে দৃশ্যমান সাফল্যের সাথে মোকাবেলা করেছে। প্রবৃদ্ধির চেয়ে জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষা ও সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় সরকার অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বলে জানান আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বিইউ/জেবি

 

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর