দেশের ইতিহাসে সব থেকে বড় অঙ্কের বাজেট ঘোষণা আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত এই বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ধরা হচ্ছে ৬ দশমিক ০ শতাংশ। যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির হার ধরা হয়েছিল ৫ দশমিক ৬ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এই বাজেট উপস্থাপন করেন। এ সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে মূল্যস্ফীতি, সরকারি ব্যয়, লেনদেনের ভারসাম্য, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ও মুদ্রা বিনিময় হারের ওপর। যুদ্ধ ও যুদ্ধকেন্দ্রিক নিষেধাজ্ঞার প্রভাবে আন্তর্জাতিক সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। তখন বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্য, সার ও জ্বালানি তেলের মূল্য অনেকখানি বেড়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, নজিরবিহীন মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে উন্নত দেশগুলো, বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ধাপে ধাপে নীতি সুদের হার বাড়িয়েছে। বৈশ্বিক পরিমণ্ডলের এসব পরিবর্তন আমাদের অর্থনীতিকেও প্রভাবিত করছে। যুদ্ধ-পূর্ববর্তী দশকে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি ৫-৬ শতাংশের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল। অথচ যুদ্ধ শুরুর পর বৈশ্বিক মূল্যবৃদ্ধি ও দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় হারের অবচিতির কারণে আমদানি ব্যয়বৃদ্ধির ফলে পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি বেড়ে আগস্ট ২০২২ সময়ে ৯ দশমিক ৫ শতাংশ হয়। ফলে চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখা সম্ভব হবে না।
বিজ্ঞাপন
এদিকে নতুন এই বাজেটে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হচ্ছে চলতি অর্থবছরের মতোই ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। বাজেটের আকার নির্ধারণ করা হচ্ছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা এবং ঘাটতি ২ লাখ ৬১ হাজার ৯৯১ কোটি টাকা।
টিএই/এইউ