আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেছেন, শহিদ শরীফ ওসমান হাদি যে আধিপত্যবাদবিরোধী চেতনার কথা প্রচার করে জীবন দিয়েছেন সেটি যেন শতাব্দির পর শতাব্দি বেঁচে থাকে। দেশের স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বকে ধারণ করার মতো এমন আরও ওসমান হাদি আমাদের ঘরে ঘরে প্রয়োজন।
শনিবার বিকালে ওসমান হাদির জানাজায় অংশ নিয়ে শায়খ আহমাদুল্লাহ গণমাধ্যমে এসব বলেন।
শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমি দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা ওসমান হাদিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করুন। এবং সেই সঙ্গে ওসমান হাদির যে প্রেরণা, আদর্শ, চেতনা সেটি যেন এ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যুগ যুগ ধরে, শতাব্দির পর শতাব্দি যেন বেঁচে থাকে, টিকে থাকে, স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্বকে ধারণ করবার মতো তারুণ্য যেন আমাদের আরও উজ্জীবীত করে, আরও অনুপ্রাণিত করে। হাদির জানাজার মধ্যে এতো লক্ষ লক্ষ্য মানুষের উপস্থিতি; আমাদের আরও হাজার হাজার হাদির প্রয়োজন, ঘরে ঘরে হাদির প্রয়োজন।
বিজ্ঞাপন
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যারা এখানে এসেছি, ওসমান হাদির যে চেতনা, আদর্শ, সততা, নিষ্ঠা ছিল- সেটিকে যদি আমরা ধারণ করতে পারি তাহলে আমাদের এ দেশ ভিন্ন এক বাংলাদেশে পরিণত হবে। বিশ্বের মানচিত্রে আমরা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারব। ওসমান হাদির আদর্শ যেন আমরা প্রত্যেকে বুকে ধারণ করতে পারি এবং আমাদের প্রিয় স্বদেশকে, দেশের স্বাধীনতা, স্বার্বভৌমত্ব, ন্যায়বিচার, উন্নতি অগ্রগতির জন্য যার যার জায়গা থেকে প্রত্যেকে যেন শ্রম মেধা, জীবন যৌবন সব যেন কুরবান করতে পারি, সেই শিক্ষা যেন আমরা ধারণ করতে পারি, এটি হলো আমাদের একমাত্র চাওয়া।
খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেন, আজকের জানাজায় বাঁধ ভাঙা মানুষের জোয়ার প্রমাণ করে শরীফ ওসমান হাদি মানুষের হৃদয়ে কতোটা আসন গেড়েছিল। পুরো দেশের মানুষ ওসমান হাদির বিরহ বেদনায় কাতর। তবে আশার কথা হলো তারা শোককে শক্তিতে পরিণত করেছে। তার জানাযায় অংশগ্রহণকারী দেশের তৌহিদি জনতা যে শপথের বাণী উচ্চারণ করেছে আমরা সেই শপথের বাণী শুনে উজ্জীবীত।
মামুনুল হক বলেন, আমরা মনে করি খুনিরা ওসমান হাদিকে হত্যা করার মধ্য দিয়ে জুলাই বিপ্লবকে ব্যর্থ করতে চেয়েছিল। কিন্তু আজ শরীফ ওসমান হাদির এই আত্মত্যাগের মাধ্যমে নতুন প্রজ্নম যে সাহস ও উদ্দীপনা দেখিয়েছে, যে শপথে উজ্জীবীত হয়েছে, আমরা মনে করি এর মাধ্যমে খুনি ও তার সহযোগীদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে।
খেলাফত মজলিশের এই শীর্ষনেতা বলেন, ওসমান হাদির শাহাদাতের বদলা নেওয়ার জন্য দেশের মানুষ যেভাবে শপথ গ্রহণ করেছে এটি চূড়ান্তভাবে আধিপত্যবাদের কবর রচনা করবে। ইনসাফ প্রতিষ্ঠার যে সংগ্রাম ছিল ওসমান হাদির, সেটি তিনি মৃত্যুর মাধ্যমে প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে ছড়িয়ে দিতে পেরেছেন। তার এই আত্মত্যাগ সময়ের বিবেচনায় ক্ষুদ্র হতে পারে, কিন্তু কর্মের বিবেচনায় তা সফল এবং স্বার্থক জীবন।
ক.ম/





























































































































