মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নির্ধারণে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মরদেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা পৌনে ১১টার দিকে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। এরপর মরদেহ আবার জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে ফিরিয়ে নেওয়া হয়। সেখানে মরদেহের গোসল শেষে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজার জন্য নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
এর আগে সকাল পৌনে ১০টার দিকে লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়ি ব্যবহার করে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে শহীদ হাদির মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নিরাপত্তা দিতে দেখা গেছে।
জানা গেছে, হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘর থেকে সহযোদ্ধা ও সমর্থকদের অংশগ্রহণে মিছিলসহ ওসমান হাদির মরদেহ নেওয়া হবে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। এরপর দুপুর ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এ সময় নিরাপত্তা নিশ্চিতে মাঠে ১ হাজার বডি ওর্ন ক্যামেরাসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করেছে ডিএমপি।
ইনকিলাব মঞ্চের ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, পরিবারের দাবির ভিত্তিতে শহীদ ওসমান হাদিকে কবি নজরুলের পাশে সমাহিত করা এবং মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে বাদ জোহর জানাজার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
গত ১২ ডিসেম্বর গণসংযোগের জন্য রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি তার মাথায় লাগে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হাদিকে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাদি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে শহীদ হাদির মরদেহ চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে। সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটে রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হাদির মরদেহ বহনকারী ফ্লাইটটি অবতরণ করে।
বিজ্ঞাপন
এফএ











































































































