জুলাই যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় উত্তেজিত জনতা গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা চালানোর ঘটনায় পত্রিকা দুটির সম্পাদকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আপনাদের প্রতিষ্ঠান ও সংবাদকর্মীদের ওপর এই অনাকাঙ্ক্ষিত ও ন্যাক্কারজনক হামলা আমাকে গভীরভাবে ব্যথিত করেছে। আপনাদের এই দুঃসময়ে সরকার আপনাদের পাশে আছে।’
বিজ্ঞাপন
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, দেশের শীর্ষস্থানীয় দুটি গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের ওপর এই হামলা স্বাধীন গণমাধ্যমের ওপর হামলার শামিল। এই ঘটনা দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও স্বাধীন সাংবাদিকতার পথে এক বিরাট বাধা সৃষ্টি করেছে।
টেলিফোনে আলাপকালে সম্পাদকদের ও সংবাদমাধ্যমগুলোর পূর্ণ নিরাপত্তা এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য সহযোগিতার আশ্বাস দেন প্রধান উপদেষ্টা।
খুব শিগগিরই এই সম্পাদকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বলেও জানান প্রধান উপদেষ্টা।
আরও পড়ুন
আপাতত অনলাইন পোর্টালও বন্ধ, পাঠকদের সহযোগিতা চায় প্রথম আলো
ক্রাইমসিনের আওতায় প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয়
গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকার কালভার্ট রোডে রিকশাযোগে আসার সময় একটি মোটরসাইকেলে এসে দুজন যুবক ওসমান হাদিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে তাকে সঙ্গীরা উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয় সিঙ্গাপুরে। কিন্তু তাকে আর ফেরানো যায়নি।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে দেশবাসীকে কাঁদিয়ে হাদি না ফেরার দেশে চলে যান। তার মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। এ সময় একটি পক্ষ ভারতের দালালির অভিযোগ তুলে কারওয়ানবাজারে দৈনিক প্রথম আলোর অফিসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে তারা একই গ্রুপের ডেইলি স্টার কার্যালয়েও ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে পত্রিকা দুটি প্রকাশনা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।
জেবি




































































