সন্ত্রাসীদের গুলিতে ইনকিলাব মঞ্চের মূখপাত্র শরীফ ওসমান হাদি মৃত্যুবরণ করেছেন। তার মৃত্যুর ঘটনায় সারাদেশ জুড়ে সকল শ্রেণী পেশা মানুষের মধ্যে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
শরীফ ওসমান হাদি তার মৃত্যু নিয়ে একাধিক গণমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন। তার দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, যিনি রাজনীতি করেন,যিনি লড়াই করেন,যিনি বিপ্লবী,যিনি সংগ্রামী- তার মৃত্যুটা হবে একটা সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, একটা রাজপথে।
এরপর বলেছিলেন, আমি ভীষণভাবে প্রত্যাশা করি, আমি ছোটবেলা থেকে স্বপ্ন দেখি- অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটা তুমুল মিছিল হচ্ছে, সেই মিছিলের সামনে আমি আছি। কোন একটা বুলেট এসে আমার বুকটা হয়তো বিদ্ধ করে দিয়েছে এবং সেই মিছিলে আমি হাসতে হাসতে আমি শহীদ হয়ে গেছি। সবাই যখন মৃত্যটাকে ভীষন ভয় পায়, আমি তখন হাসতে হাসতে আল্লাহর কাছে ভীষন সন্তুষ্টি নিয়ে পৌঁছাতে চাই যে, আমি একটা নূন্যতময়ী জীবন নিয়ে লিত করতে পারলাম। আমি একটা ইনসাফের হাসি নিয়ে আমি আমার আল্লাহর কাছে পৌঁছাতে চাই।
তার কথায়, সুতরাং আগামী ৫০ বছর বাঁচলাম। আমাকে দিয়ে কোন ইমপ্যাক্ট তৈরি হলো না- দেশের জন্য,রাষ্ট্রের জন্য,উম্মাহর জন্য,জাতির জন্য। কিন্তু ধরপন আমি ৫ বছর বাঁচলাম। এ ৫ বছরের মধ্য দিয়ে যদি আগামী ৫০ বছরের ইমপ্যাক্ট তৈরি হয় তাহলে অনেকদিন বেঁচে থাকাই কি সাফল্যের?
হাদি সাক্ষাৎকারে আরও বলেছিলেন, কোনো একটা মিছিলে হয়তো আমার বুকটা বিদ্ধ করে দিয়েছে এবং আমি হয়তো মিছিলে হাসতে হাসতে শহীদ হয়ে গেছি। আমি তখন হাসতে হাসতে আল্লাহর কাছে ভীষণ সন্তুষ্টি নিয়ে পৌঁছাতে চাই, আমি অন্তত ইনসাফের হাসি নিয়ে আমি আমার আল্লাহর কাছে পৌঁছাতে চাই। হায়াত মৌতের মালিক আল্লাহ। অবশ্যই সিকিউরিটি নিয়ে চলাটা সুন্নাহ। কিন্তু আমাদের লড়াইটা হলো- ইনসাফের।
একেএস/














































































































