অগ্নিকাণ্ডের অপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারে প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠনের দাবি জানান সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন। তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে যারা জড়িত, প্রয়োজনে আইন পরিবর্তন করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল করে তাদের বিচার করা না হলে শুধু এই অপরাধ নয়, অন্যদের কাছে একটি বার্তা যাবে না।
শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বেইলি রোডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।
সংসদ সদস্য শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘বড় অপরাধীদের বিচার হয়েছে। সে ক্ষেত্রে দায়মুক্তির সংস্কৃতি থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। কিন্তু কিছু কিছু জায়গায় আরও কঠিন পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।’
২০১৯ সালে বনানীর এফআর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে ২৭ জনের মৃত্যু হয়। ওই সময় গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ছিলেন শ ম রেজাউল করিম। ওই ঘটনার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বনানীর এফআর টাওয়ারে আগুন লাগার পর ঘটনা তদন্ত করে তারা ৬২ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্য, সর্বোচ্চ পর্যায়ের একটি কমিটি রিপোর্ট দেওয়ার পরও সবার বিরুদ্ধে মামলা হয়নি। তারপর চার্জশিট দেওয়ার সময় অনেককে বাদ দেওয়া হয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আজকে পর্যন্ত সে মামলার অভিযোগ গঠন পর্যন্ত হয়নি।
শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা সে সময় ১ হাজার ৩০০ ভবনকে চিহ্নিত করেছিলাম, গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে, যে ভবনের প্ল্যান ঠিক নেই, যে ভবনের অধিকাংশ ফ্লোর অননুমোদিতভাবে করা হয়েছে, সে ভবনগুলো কিন্তু ভাঙা সম্ভব হয়নি। এটাও কিন্তু এক প্রকার দায়মুক্তি দেওয়া।’
বিজ্ঞাপন
২০২১ সালে নারায়ণগঞ্জে একটি ফুড কারখানায় আগুনের ঘটনা উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে একটি ফ্যাক্টরিতে ৫২ জন লোককে পুড়িয়ে হত্যা করা হলো। সে মামলার আসামিরা জেলে গেছে; কিন্তু আজ পর্যন্ত বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি।’
এমএইচটি