আমি কি পাপ করেছি যে এত বড় শাস্তি পেলাম। সব শেষ হয়ে গেলো। এভাবেই নিজের প্রতি ধিক্কার জানিয়ে আহাজারি আর বিলাপ করছিলেন বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় নিহত পপি আক্তারের মা বাসনা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে তিনি বারবার কাঁদছিলেন আর আহাজারি করছিলেন। পরে জানা গেলো, রাজধানীর বেইলি রোডের ঘটনায় মারা গেছেন তার মেয়ে ও দুই নাতি-নাতনি।
বিজ্ঞাপন
নিহতরা হলেন- পপি (৩০), মেয়ে আর্দিতা (১২) ও ছেলে সান (৭)।
নিহত পপি আক্তারের মা বাসনা জানান, তার মেয়ে দুই নাতি-নাতনিকে নিয়ে বাসা থেকে বের হন। তার নাতি-নাতনি রেস্টুরেন্টে খাওয়ার বায়না ধরেছিল। ফলে তাদের মা সন্ধ্যায় রাজধানীর শান্তিবাগের বাসা থেকে বের হন। তারা বেইলি রোডের গ্রীন কজি কট শপিংমলের এক রেস্তরায় খেতে গিয়েছিল। পরে তিনি ও তার জামাই ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের খুঁজে পায়নি। এরপর রাতেই মর্গের সামনে যান তারা। এরপর জানতে পারেন, তার মেয়ে, দুই নাতি-নাতনি আগুনে নিহত হয়েছে।
তিনি মর্গের সামনের ফ্লোরে বসে বারবার বলছিলেন, লাশ যেনো না লুকায়। আমি লাশটা যেন পাই।
বিজ্ঞাপন
তার সঙ্গে থাকা স্বজনেরা জানান, আগুনের সূত্রপাত হলে পপি তার স্বামী শিপন পোদ্দারকে ফোন করে জানান। এরপর তার কোনো সন্ধান না পাওয়ায় ঢামেক হাসপাতালে ছুটে আসেন তারা।
এমআইকে/এমএইচএম