বৃহস্পতিবার, ১৬ মে, ২০২৪, ঢাকা

‘এই যে মানুষগুলো মারা গেল জবাব দেবে কে?’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ মার্চ ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম

শেয়ার করুন:

‘এই যে মানুষগুলো মারা গেল জবাব দেবে কে?’

ভবন নির্মাণের জন্য সরকারের ছয়টি সংস্থার ছাড়পত্র লাগে, ছাড়পত্র দেওয়ার পর ভবনগুলোর নজরদারি নেই বলে মন্তব্য করেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য ও বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি এলাকায় রাজউকের কর্মকর্তা থাকেন। সেই কর্মকর্তারা কোথায়? এক একটা ভবন তৈরি করা হয় একটা উদ্দেশ্যে, কিন্তু যায় আরেকটা উদ্দেশ্যে। এই যে মানুষগুলো মারা গেল জবাব দেবে কে? এর দায়দায়িত্ব সরকারের, সরকারের সংস্থা, সরকারের অফিসের।’

শনিবার (২ মার্চ) জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক এসব কথা বলেন।


বিজ্ঞাপন


মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, এক একটা সময় একটা ঘটনা হয়। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয় তদন্ত করা হবে, তদন্ত টিম করা হয়; কিন্তু এরপর কোনো ফলোআপ নেই। এভাবে দেশ চলতে পারে না। সরকারের জবাবদিহি করার দরকার। দায়-দায়িত্ব নিয়ে সরকারকে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ বলেন, ‘ধানমন্ডির সাতমসজিদ এলাকায় একটা ভবনে ১৫টি রেস্টুরেন্ট। সেগুলোর কোনো অনুমতি নেই। ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোডের রাস্তার পাশে ভবনে কয়েকশ রেস্টুরেন্ট, কিন্তু সেগুলোর অনুমতি নেই। খিলগাঁওয়ের তালতলায় বহুতল ভবনে একই অবস্থা। আরও এ রকম ঘটনা ঘটবে।’

জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘যদি সরকার এ বিষয়ে সচেতন না হয়, সরকারকে বলব, দায়-দায়িত্ব নিয়ে এগুলোর জন্য কারা কারা দায়ী; সেটা রাজউক হোক, ফায়ার সার্ভিস হোক, পরিবেশ অধিদফতর হোক, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক; যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা না ঘটে, তার ব্যবস্থা করা।’

এর আগে, সংসদের বৈঠকের শুরুতে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী বেইলি রোডে হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক ও নিহত ব্যক্তিদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।


বিজ্ঞাপন


এমএইচটি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর