২০২২ সালে বেসরকারি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করেন মিনহাজ। এরপর প্রাইড সিস আইটি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে যোগ দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে অন্যদের মতো তিনি ও তার এক বন্ধু গিয়েছিলেন বেইলি রোডের ‘কাচ্চি ভাই’ রেস্টুরেন্টে। কিছু সময়ের মধ্যে ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে চারিদিকে। ভয়াবহ আগুনে প্রাণ হারান ৪৬ জন। তাদের মধ্যে ছিলেন মিনহাজও। আগুনে তার মরদেহ এমনভাবে পুড়ে যায় যে তা চেনার উপায় ছিল না। অবশেষে হাতঘড়ি দেখে তার মরদেহ শনাক্ত করে তার বন্ধুরা।
বিজ্ঞাপন
শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে মিনহাজের বন্ধুরা মরদেহ শনাক্ত করেন। এসময় তার বড় ভাইও ছিল।
বড় ভাই মেহেদীর সঙ্গে রাজধানীর বাসাবো এলাকায় বসবাস করতেন মিনহাজ। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের বার্গাবাজার ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে। বাবার নাম ওলিউল্লাহ খান। মা আমেনা বেগম।
মিনহাজের বড় ভাই মেহেদী বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘড়ি দেখে মিনহাজের মরদেহ শনাক্ত করেছি আমরা। কিন্তু এরপরও মরদেহ হস্তান্তরের আগে ডিএনএ টেস্ট করবে কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরেও বলেন, মিনহাজের পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া মরদেহটি দেখে কিছু বোঝার উপায় ছিল না। হাতের ঘড়িটি দেখেই মিনহাজকে শনাক্ত করেছি।
বিজ্ঞাপন
গতকাল মিনহাজের সঙ্গে থাকা আরেক বন্ধু আমিন ৪র্থ তলা থেকে লাফ দিয়ে প্রাণে বাঁচেন। এতে কোমরে প্রচণ্ড আঘাত পান।
আমিন বলেন, নিচে লাফ দেওয়ার পর আমার মনে হচ্ছিল কোমর যেন ভেঙে গেছে। দাঁড়াতে পারছিলাম না। কোনো রকমে হামাগুড়ি দিয়ে মূল সড়কে আসি। ফোনে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র ভাই সৌমিক আহমেদ অরণ্যকে ঘটনা খুলে বলি। এরপর ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহায়তায় আমাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়।
এমআইকে/এমআর




















































































