জীবনে প্রথমবার ভোটার হয়েছেন মো. নাইমুল ইসলাম। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে এসে পড়েছেন বিপাকে। ভোট দিতে ব্যয় করতে হয়েছে দুই ঘণ্টা, পোহাতে হয়েছে ভোগান্তি।
বুধবার (১৫ জুন) সোয়া দুইটায় নগরির ১৯ নং ওয়ার্ডের নেওড়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে নাইমুল জানান, ভোট দিতে এসে তাকে একবার ফিরে যেতে হয়েছে। পুনরায় জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসার পরেও ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাকে।
নাইমুল বলেন, আমি প্রথমে আসলাম। তারা বলে, আমার কোনো তথ্য তাদের কাছে নাই। তারা আমাকে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে বলে। সেটা নিয়ে আসার পরেও ঝামেলা হয়েছে।
ভোগান্তি হলেও শেষমেশ ভোট দিতে পেরেছেন এই তরুণ ভোটার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা নাজমুল আমিন এর ব্যাখ্যা দেন।
বিজ্ঞাপন
তিনি জানান, তাদের তথ্য বইয়ে ওই ভোটারের ঠিকানা পরিবর্তনের আবেদন করা হয়েছে, এমন তথ্য আছে। এছাড়া ভোটারের নাম, ছবি বা তার সম্পর্কে কোনো তথ্যই তাদের কাছে নেই।
প্রিজাইডিং অফিসার বলেন, এ কারণে আমরা তাকে তার জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসতে বলেছি, সেটা দেখার পর তার আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে এবং যখন তা মিলে গেল, আমরা তখন তার ভোট গ্রহণ করেছি।
নাজমুল আমিন বলেন, ভোটারের তথ্য নিশ্চিত না হয়ে তো আমরা তার ভোটগ্রহণ করতে পারি না। এক্ষেত্রে তার সময় নষ্ট হয়েছে।
এদিকে একই কেন্দ্রে আরও দুইজন ভোটার আঙুলের ছাপ না মেলার কারণে ভোগান্তিতে পড়েন। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের ভোট গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন এই প্রিজাইডিং কর্মকর্তা।
কারই/এএস