সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

‘ইভিএম জয়ে’ খুশি বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটাররা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২২, ০২:০৬ পিএম

শেয়ার করুন:

‘ইভিএম জয়ে’ খুশি বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটাররা
ভোট দিতে পেরে খুশি সত্তরোর্ধ্ব বয়সী প্রমিলা ঘোষ। ছবি: ঢাকা মেইল

চলছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এই সিটির তৃতীয় নির্বাচনে সব কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে। অনেকে জীবনে প্রথমবার ভোট দিতে এসেছেন ইভিএমে। বিশেষ করে বৃদ্ধদের মধ্যে এটা নিয়ে দুশ্চিন্তা রয়েছে। তবে ভোট দিতে পেরে তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন।

ইভিএমে ভোট দিতে ভয় পাচ্ছিলেন সত্তরোর্ধ্ব বয়সী প্রমিলা ঘোষ। তবে ভয়কে জয় করেছেন তিনি। নিজের ভোট দিয়েছেন ইভিএমে। ভোট দিতে পেরে স্বস্তির কথাও জানান।


বিজ্ঞাপন


বুধবার (১৫ জুন) দুপুরে ৩১ নম্বর কুমিল্লা মডার্ন স্কুলে মহিলা কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। সঙ্গে আসেন ছেলে চঞ্চল ঘোষ।

তবে ভোট কীভাবে দেবেন সে দুশ্চিন্তায় মনটা ভার ছিল। কারণ হিসেবে ঢাকা মেইলকে বলেন, মেশিনের কোথায় চাপবো, কী হয়। মূল দুশ্চিন্তা ছিল- ভোটটা নষ্ট হয় কি না। যদিও সঙ্গে আসা ছেলে বলছিলেন, ‘মা! চিন্তা করো না, ওখানে লোক আছে।’ অন্যান্য প্রতিবেশীরাও বারবার বলছিলেন, ভোটকেন্দ্রের ভেতরে কর্মকর্তারা আছেন, চিন্তার কোনো কারণ নেই, ঠাকুমা যাবেন আর ভোট দিয়ে চলে আসবেন। অবশেষে ভোট দিয়ে দ্রুতই ফেরেন তিনি।

ভোট দিয়ে ফেরার পর আবার কথা হয় ঢাকা মেইলের সাথে। ভোট দেখে কেমন লাগছে জানতে চাইলে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘এমনতি ভালোই লাগছে।’ অনেক সময় মারামারি হলেও মারামারির হাঙ্গামা না থাকায় ভালো লেগেছে বলে জানান তিনি।

ভোট দিতে পেরে প্রমিলা ঘোষ বলেন, ‘ভোট দিয়ে খুবই ভালো লাগছে। আমার আশপাশে অনেক ভিড় ছিল, সেই সব মানুষ সরিয়ে দিয়ে আমারে তাড়াতাড়ি ভোট দিতে দিছে। ওখানে সবাই আমারে সাহায্য করেছে।’


বিজ্ঞাপন


promila

ভোট দেওয়ার আগে দুশ্চিন্তা থাকলেও ইভিএমে ভোট দিয়ে তিনি বলেন, ‘ভোট দেয়ার আগে চিন্তা থাকলেও দিতে গিয়ে দেখলাম কোনো সমস্যা নেই, ওখানে সবাই সহযোগিতা করেছেন। কোনো ঝামেলা হয়নি ভোট দিতে।’

পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরেছেন কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি আমার খুশি মতো ভোট দিয়েছি।’ জীবনে অনেক ভোট দিয়েছেন তিনি তবে এই বয়সে প্রত্যাশা কী জানতে চাইলে বলেন, ‘কুমিল্লার সবাই যেন শান্তিতে থাকতে পারে, কুমিল্লা হচ্ছে শান্তির শহর, আমরা সেটাই চাই।’

ছেলে মতিলাল দত্তের হাত ধরে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসেন ৯৪ বছর বয়সী রাজরাজেশ্বর হেলারানী দত্ত। ছেলে মতিলাল দত্তের হাত ধরে আসা বৃদ্ধা ইভিএমে ভোট নিয়ে বলেন, ‘সমস্যা হইব না, হেতারা (পোলিং অফিসার) দেখায়ে দিলে দিতে পারমু।’

স্বাস্থ্য বিষয়ে খোঁজ নিলে বলেন, ‘ভালো লাগে বলেই আইছি, বাবা। ভোট দিয়াই চলে যাবো।’

নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানালেন, এই কেন্দ্রে হেলারানী দত্তই সম্ভবত সবচেয়ে বয়স্ক ভোটার। ভোট দিতে তিনিই সবার আগে কেন্দ্রে হাজির হয়েছেন।

city

৬নং ওয়ার্ডের আলিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা সত্তোরোর্ধ  মায়ারাণী ঢাকা মেলইকে বলেন, ‘ভোট আমি কখনও বাদ দিইনি। আমার ভোটে যদি উপকার হয় তাই আসি। এবারও আমার বউমাকে নিয়ে এসেছি।’

ভোট দিতে পেরে বলেন, ‘এতে তাড়াতাড়ি ভোট দিতে পারুম ভাবিনি বাবা। আমাদের ভোট আগে দিতে ওখানে মানুষ এগিয়ে আসছে। দেখিয়ে দিছে কীভাবে ভোট দিতে হয়। আমি আমার প্রিয় মার্কাতে ভোট দিছি।’

মায়ারাণী ছেলের বউ বলেন, ‘আমিও এখানকার ভোটার। সবসময় আমি মাকে সাথে নিয়ে আসি। উনি সকালেই আমাকে বলেছেন, ভোট দিতে নিয়ে চলো তাড়াতাড়ি যাই। মানুষ বেশি হইবে। এসে দেখলাম বয়স্ক হওয়াতে উনাকে আগেই ব্যবস্থা করে দিল। ভোট দেওয়ার বিষয়টি ততেটা কঠিনও মনে হয়নি।’

ডব্লিউএইচ/বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর