গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল আটটায় একযোগে ৪৮০টি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
গাজীপুর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চান্দনা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, প্রিজাইডিং অফিসারসহ ভোট পরিচালনাকারী কর্মকর্তারা নিজ নিজ কক্ষে অবস্থান করছেন। ভোটে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের এজেন্টরাও ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছেন। ভোট সুষ্ঠু করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মেয়র পদে ৮ জন, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৭৭ জন ও সাধারণ ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ২৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৭টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত গাজীপুর সিটি করপোরেশনে মোট ভোটার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন এবং মহিলা ভোটার ৫ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন। এছাড়াও বিপরীত লিঙ্গের (হিজড়া) ভোটার আছেন ১৮ জন।
ভোটগ্রহণ শুরুর প্রথম ঘণ্টাতেই ভোট দেওয়ার কথা রয়েছে মেয়র প্রার্থীদের। নৌকার প্রার্থী মো. আজমত উল্লা খান টঙ্গীর দারুস সালাম মাদরাসা কেন্দ্রে সকালে ভোট দেবেন।
বিজ্ঞাপন
সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম ও তার মা জায়েদা খাতুন ভোট দেবেন কানাইয়া স্কুলের কেন্দ্রে। লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় পার্টির এমএম নিয়াজ উদ্দিন টঙ্গী কলেজ রোড নিউ ব্লুন স্কুল, হাতপাখা প্রতীকের ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী গাজী আতাউর রহমান টঙ্গীর সিরাজ উদ্দিন সরকার বিদ্যানিকেতন অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী সরকার শাহনূর ইসলাম রনি হাতি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়ছেন। তিনি টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার হাসপাতাল কেন্দ্রে ভোট দেবেন বলে জানা গেছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের পরিবেশ ভালো। নির্বাচনী মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছেন। তাদের পাশাপাশি প্রতিটি ওয়ার্ডে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও আছেন। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১৬-১৭ জন সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
কেআর/এমআর