শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ঢাকা

৩৩৩ প্রার্থী, প্রথমবার ইভিএমের স্বাদ

কাজী রফিক
প্রকাশিত: ২৫ মে ২০২৩, ০১:৩৫ এএম

শেয়ার করুন:

৩৩৩ প্রার্থী, প্রথমবার ইভিএমের স্বাদ
ছবি: ঢাকা মেইল

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের শুরু হচ্ছে সকাল ৮টায়। ৮ ঘণ্টাব্যাপী চলবে ভোট যুদ্ধ। শহরতলীর প্রায় ১২ লাখ ভোটারের ভোট নিজের ঝুলিতে নিতে লড়বেন ৩৩৩ জন প্রার্থী। 

বুধবার গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিরতি দিয়ে আজ ভোট। তবে বৃহস্পতিবারও প্রার্থীরা ভোটার স্লিপ প্রস্তুত, স্লিপ বিতরণের কেন্দ্র তৈরি, নির্বাচনী এজেন্ট নিয়োগসহ নানা কাজে ব্যস্ত সময় পাড় করেছেন। 


বিজ্ঞাপন


সকল চেষ্টা ও অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে প্রথমবারের মতো ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) স্বাদ পেতে যাচ্ছে গাজীপুরের ভোটাররা। 

বাংলাদেশের সিটি কর্পোরেশনগুলোর মধ্যে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন প্রতিষ্ঠাকালের দিক থেকে কনিষ্ঠতম এবং আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের আয়তন ৩২৯ দশমিক ৫৩ বর্গকিলোমিটার। বিশাল আয়তনের এই সিটির জনসংখ্যা প্রায় ৬৫ লাখ। ৫৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত এই করপোরেশন এলাকায় মোট জনসংখ্যার মাত্র ৫ ভাগের একভাগ ভোটার। গাজীপুর সিটিতে মোট ভোটার সংখ্যা ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন। 

দেশ এর প্রায় ৭৫ শতাংশ গার্মেন্টস্ শিল্প এই অঞ্চলে অবস্থিত। ফলে সংখ্যার দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও স্থানীয় ভোটার সংখ্যা তুলনামূলক কম। আবার ভোটারের মধ্যে অনেকেই অন্যান্য জেলা থেকে কাজের প্রয়োজনে এ অঞ্চলে এসে ভোটার হয়েছেন। 

ভোট উপলক্ষে আজ গাজীপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। আর প্রত্যাশা করা হচ্ছে ভোটাররা তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। 


বিজ্ঞাপন


নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সিটিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে মোট ৩৩৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে আটজন, সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৭৯ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৬ জন প্রার্থী। তাদের ভোট দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৭৬ জন ভোটার। এদের মধ্যে পাঁচ লাখ ৯২ হাজার ৭৬২ জন পুরুষ ও পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৬ জন নারী এবং ১৮ জন রয়েছে হিজড়া ভোটার। এ সিটিতে ৫৭টি সাধারণ ও ১৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড রয়েছে। মোট ভোটকেন্দ্র ৪৮০ ও মোট ভোট কক্ষ ৩ হাজার ৪৯৭টি। ইতোমধ্যে প্রতিটি ভোট কেন্দ্র ভোটের সরঞ্জাম পাঠানো হয়েছে।

আর ৪৮০ টি কেন্দ্রের মধ্যে ৩৫১টি কেন্দ্রকে ঝুকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আর সে ঝুকি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইসি। 

ভোটের মাঠে কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজ নিজ ওয়ার্ডে আলোচনায় আছে। তবে এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুইজন মেয়র প্রার্থী গাজীপুরের গণ্ডি পেরিয়ে দেশব্যাপী আলোচনায় উঠে এসেছেন। 

আওয়ামী লীগ থেকে সদ্য স্থায়ী বহিষ্কার হওয়া করপোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তবে তার জায়গায় লড়ছেন তার মা। আর মায়ের পাশে শক্ত ঢাল হিসেবে দাড়িয়ে আছেন সাবেক এই মেয়র। 

করপোরেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এই টেবিল ঘড়ি প্রতীকের পোস্টার ও ব্যানারের পরিমাণ তুলনামূলক কম। তবে নেতাকর্মী ও জনপ্রিয়তা আছে জাহাঙ্গীরের। যা তার মায়ের ঝুলিতে ভোট এনে দিতে পারে। 

অপরদিকে দলীয় মনোনয়নে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন আজমত উল্লা খান। প্রভাবশালী ও স্থানীয়ভাবে জনপ্রিয় এই নেতা নিজের অবস্থান বেশ কষ্ট করেছেন। ভোটের মাঠে তাকে সাহস জোগাচ্ছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ২৮ জন নেতা। এছাড়া দলের বিভিন্ন সহযোগী ও ভাতৃপ্রতীম সংগঠন রয়েছে তার পাশে। 

জানা গেছে, এবারের ভোটে এই দুই প্রার্থীর পাশাপাশি নিজেদের অস্তিত্ব ও জনপ্রিয়তার প্রমাণ দিয়ে যাবে জাতীয় পার্টি এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। 

কারই/একে

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর