শনিবার সকাল দশটা। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা মগবাজার। অলিগলিতে বাজার, সবসময় মানুষের যাতায়াত, ব্যস্ততা। এই এলাকার গ্রিনওয়ে গলির ইস্ত্রি দোকানি মাহফুজ বললেন, ঈদের পর কোনো মশার ওষুধ স্প্রে করতে দেখিনি। ঈদের আগে মাঝেমধ্যে বিকেলের দিকে ফগার মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হতো।
একটু সামনে গিয়ে দেখা হয় একটি বাসার কেয়ারটেয়ার আবুল কালাম আযাদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি গত ৭ বছর ধরে এই বাসায় কাজ করছি। গত মাসে অফিসাররা এসেছিলেন আমাদের বাসায়। তারা একটি ট্যাবলেট দিয়ে গেছেন। এরপর আর কেউ আসেনি। কোনো কর্মী ফগার নিয়েও আসেনি।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে এ এলাকায় দেখা যায়, কিছু কিছু রাস্তা ময়লা-আবর্জনায় ভরা। এখান থেকেই জন্ম নিচ্ছে মশা-মাছিসহ নানা ধরনের কীট-পতঙ্গ। বাসার ভেতর থেকে কেউ কেউ জানালা দিয়ে আবর্জনা ফেলেন, যা পড়ে থাকে বাসার নিচে বা বেলকনিতে। এসব নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় না। এরমধ্যে বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। আর এই পানিতেই জন্ম নেয় মশার লার্ভা।
গ্রিনওয়ে গলির একটি বিল্ডিংয়ের ৫ তলায় থাকেন বেশ কয়েকজন চাকরিজীবী ও ছাত্র। এই এলাকা ডেঙ্গু জোন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে— এই বিষয়ে জানতে চাইলে তারা বলেন, জানি, পত্রিকাতেও দেখেছি। কিন্তু আমাদের এই ফ্লোরে এখনও কেউ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার খবর শুনিনি। মাঝে মধ্যে এ এলাকায় সিটি করোপোশেনের কর্মীরা মশার মারার স্প্রে করে থাকেন। কিন্তু ইদানীংকাল এখানে মশা নিধনে স্প্রে ছিটানোর কোনো দৃশ্য চোখে পড়েছে না।
পিয়ারাবাগ এলাকায় সেলুনে কাজ করেন মো. আক্কাস। প্রায় এক যুগ হলো তার দোকান পিয়ারাবাগ মসজিদের পাশেই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, কই মশা নিধনে স্প্রে করতে তো দেখি না।
শুধু গ্রিনওয়ের গলি বা পিয়ারাবাগ নয়, মগবাজার এলাকায় ঘুরে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মশা নিধনে নেই কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।
বিজ্ঞাপন
এআইএম