রাজধানীর উত্তরা হাউজবিল্ডিং এলাকায় পুলিশের টহল গাড়ি লক্ষ্য করে ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এতে ককটেল বিস্ফোরণে উত্তরা পশ্চিম থানার তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরে উত্তরা হাউজ বিল্ডিং এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
বিজ্ঞাপন
ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় কাজী মো. হাসান নামে এক ছাত্রদল নেতাকে আটক করা হয়েছে। তিনি গাজীপুর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদ আলম। তিনি বলেন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনি ছাত্রদলের সাবেক নেতা। তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
উল্লেখ্য, গত ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও সমমনা সরকারবিরোধী দলগুলো। ওই দিন দুপুরে বিএনপির মহাসমাবেশে আসা লোকজনের সঙ্গে কাকরাইল মোড়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশগামী লোকজনের সংঘর্ষ হয়। পুলিশি হস্তক্ষেপে পরে সেটি ত্রিমুখী সংঘর্ষে রূপ নেয়। একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা হয় এবং বেশকিছু গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এছাড়া ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদেরও মারধর করা হয়। পরে পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ও উপুর্যুপরি টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিএনপির সমাবেশ ভণ্ডুল করে দেয়। এতে সংঘর্ষ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। পরে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীদের হামলায় এক পুলিশ সদস্য নিহত হন। এছাড়া পুলিশ হাসপাতালেও হামলার ঘটনা ঘটে।
২৯ অক্টোবর মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে সারাদেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ঘোষণা করে বিএনপি। একই দিন গ্রেফতার করা হয় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল আলমগীরকে। এছাড়া পুলিশি অভিযান চালানো হয় দলটির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বাসা-বাড়িতে। পরদিন মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ বিএনপির শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
এক দিন বিরতি দিয়ে ৩১ অক্টোবর থেকে টানা ৩ দিনের অবরোধ কর্মসূচি দেওয়া হয়। এরপর দুই দিনের বিরতি দিয়ে আবারও ৪৮ ঘণ্টার সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।
আজ রোববার (৫ নভেম্বর) দ্বিতীয় দফার প্রথম দিনের অবরোধ কর্মসূচি শুরুর আগেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ১২টি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা।
কারই/এমআইকে/এইউ











































