বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সকাল ৭টা। কমলাপুর স্টেশনে যাত্রীদের আনাগোনা। অবরোধে যেহেতু দূরপাল্লার বাস চলছে না তাই ট্রেনেই যাতায়াত করছেন অনেকে। ট্রেনগুলো ছাড়ছে সময়মত। কিন্তু যাত্রী সংখ্যা আশানুরূপ নয়। তারপরেও টিকিট মিলছে না নিয়ম অনুযায়ী। বাড়তি অর্থ দিয়ে কাটতে হচ্ছে ট্রেনের টিকিট।
এদিকে কাউন্টারের দায়িত্বে থাকা অনেককেই সিটে পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে সময় নিয়ে। আবার কিছু কিছু কাউন্টার বন্ধ। এতে ভোগান্তি যেন বাড়ছেই। সিট ছাড়া যাত্রীদের উদ্দেশে দুই ঘণ্টা আগেই টিকেট দেওয়ার ঘোষণা থাকলেও কাউন্টারে লোক নেই।
বিজ্ঞাপন
কাউন্টারে বলা হচ্ছে সিট নেই, টিকিট নেই। কিন্তু প্রবেশপথে ঢুকলেই প্রতি যাত্রীর কাছ থেকে ৫০ টাকা বাড়তি নিয়ে টিকিট দিচ্ছেন রেলওয়ের কর্মীরা। যাত্রীদের চাপে ফেলে হয়রানি করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
জরুরি দরকার তাই বরিশাল থেকে আগের দিন রাতে লঞ্চে ঢাকায় এসেছেন সিরাজগঞ্জের মামুন। সিরাজগঞ্জে যাওয়ার উদ্দেশে ভোরে এসেছেন কমলাপুর। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও টিকিট পাচ্ছেন না। অবশেষে ট্রেনে যাবেন তাই ভেতরে প্রবেশ করেছেন। কিন্তু টিকিট নেই। তাকে টিকিট পেতে হলো নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৫০ টাকা বেশি দিয়ে।
৮০ বছরের শমসের যাবেন টাঙ্গাইলে। সকাল থেকে বসে আছেন টিকিট নেবেন বলে। কিন্তু কাউন্টার বন্ধ। এদিক সেদিক তাকাচ্ছেন। টিকিট কাটকে না পেরে হতাশ হয়ে বসে পড়েছেন প্লাট ফর্মে।
কমলাপুর স্টেশনে টিকিট কাউন্টারে দায়িত্বরত এক নারী কর্মীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কী হচ্ছে না হচ্ছে সেটি বলতে পারবো না। আমাদের এখানে কোনো সিট নেই। টিকিট নেই। বাইরে বাড়তি টাকা নিয়ে টিকিট দিচ্ছে, আপনারা দিচ্ছেন না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমার জানা নেই।
এদিকে কমলাপুর স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করার পর যাত্রীদের সব লাগেজ পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা এই দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলোর ডাকা অবরোধে চলছে না দূরপাল্লার বাস। জরুরি প্রয়োজনে মানুষ যাতায়াত করছে ট্রেনে।
এআইএম/এইউ











































