মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

কবে খুলবে নয়াপল্টনের তালা?

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০১ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৪৮ পিএম

শেয়ার করুন:

কবে খুলবে নয়াপল্টনের তালা?
ছবি: ঢাকা মেইল

নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালাবদ্ধ থাকার ঘটনা নতুন নয়। রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হলেই এমন দৃশ্য দেখা যায়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও রাজপথে দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। গত শনিবার বিএনপির ডাকা মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। শুরু হয়েছে হরতাল-অবরোধ। অন্যদিকে সংষর্ষের পর থেকে তালাবদ্ধ বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। 

ওইদিনের পর থেকে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি পুরো স্টাফশূন্য নয়াপল্টনের এই কার্যালয়টি। রোববারের সকাল-সন্ধ্যা হরতালের পর টানা তিন দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিন (বুধবার) পর্যন্ত কার্যালয়ের আশপাশেও দেখা যায়নি নেতাকর্মীদের। তবে আগের মতো তালাবদ্ধ কার্যালয়ের সামনে কড়া প্রহরায় রয়েছে পুলিশ। 


বিজ্ঞাপন


এমন পরিস্থিতিতে অজ্ঞাতস্থান থেকে গণমাধ্যমে প্রতিদিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠাচ্ছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। স্বাভাবিক কারণেই খোদ নেতাকর্মীদের মাঝে প্রশ্ন উঠেছে- এমনটা কতদিন চলবে? কবে খুলবে কেন্দ্রীয় কার্যালয়!

মঙ্গলবার বিকেলে কার্যালয়ের দাফতরিক কাজের সঙ্গে যুক্ত একজন বিএনপি নেতা ঢাকা মেইলকে বলেন, হঠাৎ পরিস্থিতি বদলে গেল! কবে আবার স্বাভাবিকভাবে দাফতরিক কাজ করা সম্ভব হবে কেউ বলতে পারছি না।
 
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবারের সংঘর্ষে পুলিশ নিহত হওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে আছে। বিএনপি মহাসচিবসহ একাধিক শীর্ষ নেতা গ্রেফতার হয়েছেন। বাকিরাও আতঙ্কে আছেন। এমন পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আরও সময় নিয়ে কার্যালয়মুখী হতে পারেন সংশ্লিষ্টরা। 

আরও পড়ুন

অবশ্য পুলিশের ভাষ্য— তারা কার্যালয়ে তালা দেননি। সংঘর্ষের পরে ভেতরে আটকে থাকা নেতারা বের হওয়ার পর দলের লোকজন গেট বন্ধ করে গেছেন।

নয়াপল্টনে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, কার্যালয়ে আমরা তালা দেইনি। খোলার বিষয়ও আমাদের জানা নেই। দলের লোকজন তো এখানে কেউ আসেনি ভেতরে যাওয়ার জন্য। আমরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে এখানে কাজ করছি।

নয়াপল্টনে পা বাড়াচ্ছে না কেউ
এদিকে হরতালের মতো অবরোধের দ্বিতীয় দিনেও নেতাকর্মী শূন্য বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়। আশপাশেও দেখা নেই নেতাকর্মীদের। যদিও বিজয়নগর এলাকায় কৃষক দলের নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে মিছিল করেছে। মঙ্গলবার নয়াপল্টন দিয়ে যাওয়ার সময় ওলামা দলের নেতা রফিকুল ইসলাম গ্রেফতার হয়েছেন। এছাড়া অন্য কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী কাউকে এই এলাকায় চলাফেরা করতে দেখা যায়নি। তবে আগের মতোই কড়া প্রহরা আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) সকাল ৭টার দিকে ক্রাইম সিনের বেষ্টনী প্রত্যাহার করা হয়েছে।

অন্যদিকে অবরোধের দ্বিতীয় দিন নয়াপল্টন কার্যালয়ের সামনের সড়কে যান চলাচল কিছুটা বেড়েছে। অবরোধ কর্মসূচি ঘিরে পুলিশ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।

বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ছাড়াও ফকিরাপুল মোড় এবং নাইটিঙ্গেল মোড়েও পুলিশ মোতায়েন করা আছে। তবে এই এলাকায় নেতাকর্মীদের কোনো তৎপরতা না থাকায় অনেকটা অলস সময় পারছেন পুলিশ সদস্যরা।

নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের দায়িত্বরত একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, আমরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য কাজ করছি। এই এলাকায় নেতাকর্মীও নেই, কোনো ধরনের নাশকতা বা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নেই। সব ধরনের যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। 

বিইউ/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর