চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমানের পরীক্ষায় পাসের হারে এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। নয়টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৭.৭১ শতাংশ। আর ছেলেদের পাসের হার ৮৭.১৬ শতাংশ।
গতবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মেয়েদের পাসের হার ৯৪ দশমিক ৫০ শতাংশ আর ছেলেদের পাসের হার ৯২ দশমিক ৬৯ শতাংশ ছিল।
বিজ্ঞাপন
সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুর ১টার পর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত ফলাফল তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এবার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় নয় লাখ ৯৫ হাজার ৯৪৪ জন ছাত্রী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে আট লাখ ৭৩ হাজার ৫৭৩ জন। অন্যদিকে নয় লাখ ৯৮ হাজার ১৯৩ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে আট লাখ ৭০ হাজার ৪৬ জন।
চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় আট লাখ ২৬ হাজার ৫৮২ জন ছাত্রী। পাস করেছে সাত লাখ ৩০ হাজার ৮২৬ জন। পাসের হার ৮৮.৪৪ শতাংশ। অন্যদিকে সাত লাখ ৬২ হাজার ৭৫ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে পাস করেছে ছয় লাখ ৬৮ হাজার ৭৪৫ জন। পাসের হার ৮৭.৭৫ শতাংশ।
দাখিল পরীক্ষায় এক লাখ ৩৪ হাজার ২৪২ জন ছাত্রী অংশ নেয়। পাস করেছে এক লাখ ১০ হাজার ৫০৬ জন। পাসের হার ৮২.৩২ শতাংশ। অন্যদিকে এক লাখ ২৫ হাজার ৮৯০ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে এক লাখ তিন হাজার ৩৭৭ জন। পাসের হার ৮২.১২ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
আর কারিগরি বোর্ডের অধীনে ৩৫ হাজার ১২০ জন ছাত্রী পরীক্ষায় অংশ নেয়। পাস করেছে ৩২ হাজার ২৪১ জন। পাসের হার ৯১.৮০ শতাংশ। অন্যদিকে এক লাখ ১০ হাজার ২২৮ জন ছাত্র পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৯৭ হাজার ৯২৪ জন। পাসের হার ৮৮.৮৪ শতাংশ।
প্রকাশ করা ফলে দেখা গেছে, ঢাকা বোর্ডে পাসের হার ৯০.৩ শতাংশ। চট্টগ্রামে পাসের হার ৮৭.৫৩ শতাংশ, কুমিল্লা বোর্ডে ৯১ দশমিক ২৮ শতাংশ, ময়মনসিংহে ৮৯ দশমিক ০২ শতাংশ, রাজশাহী বোর্ডে পাসের হার ৮৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ, বরিশালে ৮৯ দশমিক ৬১ শতাংশ, যশোরে ৯৫দশমিক ১৭ এবং দিনাজপুরে ৮১ দশমিক ১৬শতাংশ, সিলেটে ৭৮.৮২ শতাংশ।
এ বছর নয়টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বোর্ড মিলিয়ে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২০ লাখের বেশি। তিন হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে শুধু সাধারণ শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীনে এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রায় ১৬ লাখ। গত ১৫ সেপ্টেম্বর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতি ও বন্যার কারণে দীর্ঘদিন আটকে থাকার পর অনুষ্ঠিত হয় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সাধারণত পরীক্ষা শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হয়।
ডব্লিউএইচ/জেবি