উন্নয়নের স্বার্থে রংপুরবাসী আর ভুল করবে না, উন্নয়নের প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করবে বলে মন্তব্য করেছেন রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। ভোট সুষ্ঠু হচ্ছে জানিয়ে জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশা প্রকাশ করেন।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর লায়ন্স স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে নৌকার প্রার্থী বলেন, ‘উন্নয়নের মার্কা হলো নৌকা, আর সিটিবাসী যদি নৌকা মার্কায় ভোট না দিয়ে ভুল মার্কায় ভোট দেয়, তাহলে তারা নিজের পায়ে নিজেরাই কুড়াল মারবে। রংপুরের উন্নয়ন হবে না, বর্ধিত ১৮ ওয়ার্ড অন্ধকারে থাকবে।’
আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, ‘তবে আমি বিশ্বাস করি নগরবাসী উন্নয়নের স্বার্থে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে। তারা ভুল করবে না, আমি জিতব ইনশাআল্লাহ। কেননা উন্নয়নের রূপকার শেখ হাসিনা রংপুরবাসীকে সুযোগ দিয়েছেন নৌকায় ভোট দেওয়ার। এই সুযোগ যদি তারা না গ্রহণ করে তাহলে কী করার আছে।’
ইভিএমের প্রশংসা করে ডালিয়া বলেন, ‘যে মোবাইল চালাতে পারে, ইভিএমও চালাতে পারবে। চমৎকার যন্ত্র। স্মার্ট বাংলাদেশে ইভিএম যন্ত্রই ঠিক আছে। সবখানে ভালোভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। অনেকেই ইভিএমের সমস্যার কথা বলে ভুল ম্যাসেজ দিচ্ছে ভোটারদের কাছে। এটা ঠিক না।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগর এলাকায় মোট ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট চলবে। সবগুলো কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
সকালে ভোট শুরু সময় ভোটারদের কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি প্রার্থীদের সমর্থকদের ব্যাজ পরা লোকদের কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হতে দেখা গেছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো উপস্থিতি দেখা গেছে।

এবার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন এবং হিজড়া ভোটার একজন।
২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে নয়জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স মোতায়েন আছে। এছাড়া প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স সেই সাথে প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে র্যাবের টিম থাকবে।
স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব/পুলিশের টিম আর গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই/এএসআই ও তিনজন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (৪ জন মহিলা ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।
জেবি











































