ভোটে অনিয়ম ঠেকাতে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের দাবি, রংপুরের ভোটে সিসি ক্যামেরা নিয়ে মনিটরিং করার প্রভাব পড়েছে। দিনভর তেমন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি। কোনো অভিযোগও ইসির কাছে আসেনি।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নির্বাচন ভবনে তিনি সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান।
বিজ্ঞাপন
সকাল সাড়ে আটটায় উত্তরের এই সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত। সিইসির দাবি, দুপুর ২টা পর্যন্ত রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। তার ধারণা বাকি সময়ে ভোটার আরও বাড়বে।
কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, আমরা জেনেছি ইতোমধ্যে ৪৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়ে গেছে। কেন্দ্রের বাইরে ভিড় প্রচুর। সাড়ে চারটার মধ্যে যারা কেন্দ্রে থাকবেন, রাত যতই হোক তাদের ভোট নেওয়া হবে। আমরা আশাকরি ভোট অনেক বাড়বে।
ইভিএমের গতি আর ব্যালটের গতি এক নয় এমন মন্তব্য করে সিইসি বলেন, ইভিএমে একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারছেন না।
জাতীয় পার্টির প্রার্থীর ভোট দিতে বিড়ম্বনায় পড়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হাবিবুল আউয়াল বলেন, জাপার একজনের ভোট দিতে অসুবিধা হচ্ছিল পরে তার দিতে পেরেছেন। কারো আঙ্গুলের ছাপ না মিললে অ্যালকোহল প্যাড দিয়ে পরিষ্কার করে ভোট দিতে পেরেছে।
বিজ্ঞাপন
সিইসি বলেন, একটা জায়গায় (গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন) আমরা ভোট বন্ধ করে দেওয়ায় একজনের ভোট আরেকজন কোথাও দেয়নি। মনিটরিংয়ের ফলটা ইতিবাচক। যারা ভোট দিচ্ছেন, নিচ্ছেন সবাই জানেন কোনো রকম ম্যালপ্র্যাকটিস করা ঠিক হবে না। সিসিটিভির মাধ্যমে মনিটরিং করার একটা প্রভাব পড়েছে।
ভোটগ্রহণ খুবই সুশৃঙ্খল হয়েছে দাবি করে সিইসি বলেন, ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ ও উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
নির্বাচনে প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়ার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রশাসন প্রথম থেকেই অত্যন্ত সহযোগিতা করছেন। তারা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে আছেন। যার ফলে কোনো রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। আমার মনে হয় মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হয়েছে। কোনো রকম সংঘর্ষ, সংঘাত এগুলো মোটেই নেই। মানুষ দীর্ঘ সময় ধরে সংযমের সঙ্গে দাঁড়িয়ে অবস্থান করছে, এটা ভাল দিক।’
হাবিবুল আউয়াল বলেন, মিডিয়াকে অবাধ সুযোগ দিয়েছি। তারা তৎপর আছেন। এই পর্যন্ত যে তথ্য পেয়েছি ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারাও যথেষ্ট দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন।
বিইউ/এমআর











































