রংপুর সিটি করপোরেশনের তৃতীয়বারের নির্বাচনের বাকি আর মাত্র একদিন। প্রচার-প্রচারণা আজ রোববার (২৫ ডিসেম্বর) মধ্যরাতে শেষ হচ্ছে। শেষ মুহূর্তের প্রচারে সকাল থেকে সরগমর হয়ে উঠেছে পুরো সিটি। নগরীর অলিগলিতে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। আগামী মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে প্রার্থীরা নানা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
রোববার (২৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় নগরীর জীবন বীমা থেকে প্রচার শুরু করেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। নগরীর পায়রা চত্বর থেকে প্রচার শুরু করেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। এবারের আলোচিত স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন প্রচার শুরু করেছেন সেন্ট্রাল রোড থেকে। অন্যান্য মেয়র প্রার্থীরাও নেমেছেন শেষ দিনের প্রচারে। ৩৩টি ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলররাও পিছিয়ে নেই। সকাল থেকেই শুরু করেছেন প্রচার। শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণা কাজে লাগিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা করছেন প্রার্থীরা।
বিজ্ঞাপন

নির্বাচনী মাঠে নয় মেয়র প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকলেও ভোটের মাঠে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল, আওয়ামী লীগের নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রতীক হাতির মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে। জয় পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন তিনজনেই।
জাপা প্রার্থী স্মাট নগরী গড়তে চান। আওয়ামী লীগের প্রার্থী বর্ধিত ওয়ার্ডের উন্নয়নসহ নগরীর যানজট ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণসহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে আধুনিক নগরী গড়তে চান।
এদিকে কৃষিভিত্তিক শিল্পনগরী ও পরিবর্তনের অঙ্গীকার নিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে পরিকল্পিত নগরী গড়তে চান স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী লতিফুর রহমান মিলন। সব প্রার্থীই সড়কের অবকাঠামো উন্নয়ন, সড়ক বাতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতি, বিনোদন, স্বাস্থ্য, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বস্তিবাসীর উন্নয়নসহ যানজট ও জলাবদ্ধতা দূরীকরণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।
বিজ্ঞাপন

রংপুর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানান, আজ রাত ১২টায় শেষ হবে সব ধরনের প্রচার-প্রচারণা। মাঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পর্যাপ্ত টিম রয়েছে। কোথাও আচরণবিধি ভঙ্গ হলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আমাদের পুরো টিম সতর্ক ও সজাগ রয়েছে।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সিটি করপোরেশনে তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এতে মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৭৯ জন এবং সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬৭ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে ইভিএমে এবং ভোটকেন্দ্রগুলো থাকবে সিসিটিভির আওতায়।
প্রতিনিধি/জেবি











































