দায়িত্ব নেওয়ার পর কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন যে কয়টি বড় নির্বাচন করেছে তার মধ্যে অন্যতম রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচন। কারণ এখানে ৪ লাখেরও বেশি ভোটার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দিচ্ছেন। ইসি ঘোষণা দিয়েছে, ভোটে অনিয়ম দেখা যায় তাহলে গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের মতো রংপুরেও ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর)। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে ইভিএমে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
বিজ্ঞাপন
এরআগে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ করেছে নির্বাচন কমিশন। অনিয়ম ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রসহ সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন। এর পাশাপাশি দূর থেকে মনিটরিং করার জন্য স্থাপন করা হয়েছে ১ হাজার ৮০৭টি সিসি ক্যামেরা। যাতে ঢাকা থেকে মনিটরিং করা হবে ভোট। অন্যদিকে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহেরও ব্যবস্থা হয়েছে।
রংপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তার আশা, এখানে ভোট উৎসব হবে। যা প্রশংসিত হবে এবং সবাই অন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে রংপুরকে একটি মডেল হিসেবে স্মরণ করবে।
নির্বাচনে মেয়র পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে জাতীয় পার্টির মেয়রপ্রার্থী সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা ডালিয়া এবং হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়রপ্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন। এই তিন মেয়রপ্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনা দেখছেন তারা।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ১ জন।
বিজ্ঞাপন
এবার ২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বিইউ/এইউ











































