মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রংপুর সিটি নির্বাচন: ধীরে ধীরে বাড়ছে ভোটার উপস্থিতি

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৩৩ এএম

শেয়ার করুন:

রংপুর সিটি নির্বাচন: ধীরে ধীরে বাড়ছে ভোটার উপস্থিতি

শীতের সকালে ঘন কুয়াশায় প্রথম দিকে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভিড় বাড়ছে কেন্দ্রগুলোতে। মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সোটাপীর মাঝার, ইসলামপুর হনুমানতলা, রাধাবল্লভ স্কুল কেন্দ্রে ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।

তবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ধীরগতির কারণে ভোটগ্রহণে দেরি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন উপস্থিত ভোটাররা। এদিকে কোনো কোনো ভোটারের আঙুলের ছাপ মিলছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 


বিজ্ঞাপন


রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, ধীরগতির বিষয়টা হচ্ছে, এখানে একজন ভোটার তিনটা ব্যালটে ভোট দেন। তারা ভোট দেওয়ার আগে চিন্তা করতে সময় নেন। এছাড়া অনেকেই এবারই প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিচ্ছেন। এসব কারণে কিছুটা সময় লাগতে পারে।

ইভিএমে কোনো কোনো ভোটারের আঙুলের ছাপ মিলছে না- এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রার্থীরা ভোটারের নাম ও স্লিপ দিয়েছেন। যথাযথভাবে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। অনেক সময় রেখার কারণে আঙুলের ছাপ মিলতে সমস্যা হতে পারে। একটু সমস্যা থাকতে পারে। তবে যাদের ফিঙ্গার মিলছে না শেষ পর্যন্ত তারা ভোট দিতে পারবেন বলে আশাবাদী এই রিটার্নিং কর্মকর্তা। 

ইভিএম ঠিকঠাক কাজ করছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, বড় কোনো সমস্যা নেই। ছোটখাটো সমস্যা হলে আমাদের মোবাইল টিম তা সমাধান করে দেন।

এবার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার একজন। ২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে ৯জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


বিজ্ঞাপন


নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটেলিয়ন আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স মোতায়েন আছে। এছাড়া প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স একই সঙ্গে প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে র‌্যাবের টিম থাকবে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র‌্যাব/পুলিশের টিম আর গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই/এএসআই ও তিনজন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (৪ জন মহিলা ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে। 

এছাড়া ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন ৯ জন। তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও স্বতন্ত্র হাতি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিনিধি/এইউ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর