মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রংপুর সিটি নির্বাচন: কোথাও গণনা, কোথাও চলছে ভোট

জেলা প্রতিনিধি, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৬:২৯ পিএম

শেয়ার করুন:

রংপুর সিটি নির্বাচন: কোথাও গণনা, কোথাও চলছে ভোট

দিনভর বেশ শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হলেও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে শেষ দিকে ভোটারের জট তৈরি হয়েছে। যে কারণে শেষ বেলায় এসে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কেন্দ্রে আসা ভোটারদের ভোট নেওয়ার জন্য এখনো কেন্দ্র সচল আছে। তবে মজার বিষয় একই কেন্দ্রের পুরুষ বুথে ভোটগ্রহণ শেষে যখন গণনা চলছে, তখন ওই কেন্দ্রের মহিলা বুথে ভোটগ্রহণ চলছে। এমন অবস্থা বিরাজ করছে রংপুরের অনেক কেন্দ্রে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এজন্য ইভিএমের ধীরগতির কথা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি পুরো ভোট শেষ হতে রাত আটটা বাজতে পারে বলে ধারণা দিলেও স্থানীয় সূত্রে বলছে, সর্বোচ্চ সাতটার মধ্যে পুরো ভোট নেওয়া শেষ হতে পারে।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে আটটা থেকে রংপুরে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। যা চলার কথা বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত। নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রের সীমানার মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যত ভোটার আসবেন তাদের ভোট নিতেই হবে। যে কারণে এমন সমস্যা তৈরি হয়েছে।

রংপুর সিটি করপোরেশনে চার লাখেরও বেশি ভোটারের ভোট দেওয়ার সুযোগ ছিল রংপুর সিটি করপোরেশনে। ধারণা করা হচ্ছে শেষমেষ অর্ধেকের মতো ভোটাধিকার প্রয়োগ করার সুযোগ পেয়েছেন।

বেলা দুইটার দিকে সিইসি গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন, ছয় ঘণ্টায় ৪৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়ে গেছে। তবে কেন্দ্রের বাইরে ভিড় প্রচুর। সাড়ে চারটার মধ্যে যারা কেন্দ্রে থাকবেন, রাত যতই হোক তাদের ভোট নেওয়া হবে। আমরা আশা করি ভোট অনেক বাড়বে।

ঢাকা মেইলের রংপুর প্রতিনিধি সন্ধ্যায় সোয়া ছয়টার দিকে জানিয়েছেন, নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের নীলকণ্ঠ ফোরকানিয়া মাদরাসা কেন্দ্র ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চব্বিশ হাজারী ভোট কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ চলছে। তবে এই কেন্দ্রে পুরুষদের ভোট শেষে গণণা চললেও নারী ভোটার থাকায় তাদের বুথে এখনো ভোট নেওয়া হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


শুধু এই দুই কেন্দ্রই নয়, আরও অনেক কেন্দ্রে নির্ধারিত সময়ের পরে ভোট নিতে হয়েছে। তবে ধীরে ধীরে তা কমে আসছে। 

রংপুর সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রের ১৩৪৯টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন ভোটার রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন।

২০১২ সালের ২৮ জুন ২০৫ দশমিক ৭ বর্গকিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর একই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের নির্বাচনের প্রধান আকর্ষণ মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে। রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। 

তারা হলেন- জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন। 

এদিকে ভোটগ্রহণের নির্ধারিত সময়ের পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যালটের চেয়ে স্লো (ধীর গতির)। এছাড়া ভোটার উপস্থিতিও বেশি। এজন্য রসিকের ভোট গড়াতে পারে রাত আটটা পর্যন্ত।

কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক ছিল। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলকও হয়েছে।

তিনি বলেন, তুলনামূলকভাবে ইভিএমটা ব্যালটের চেয়ে স্লো। এখনো লোক লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। এটা শেষ হতে রাত সাতটা-আটটা হতে পারে। চারটা পরর্যন্ত ৫০ থেকে ৫৫ শতাংশ হয়েছে বলে অনুমান করছি।ধীরগতি দুটি কারণে হয়। ভোটার উপস্থিতি বেশি হলে হয়। এর ইতিবাচক দিক আছে। ইভিএমের সমস্যা সব সময় একই। এখানে ভোটার উপস্থিতি বেশি হয়েছে।

বিইউ/এমআর

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর