মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে জাপা প্রার্থী

জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ০৯:৩৯ এএম

শেয়ার করুন:

ইভিএমে ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে জাপা প্রার্থী

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নিজ কেন্দ্রে ইভিএম বিকল হওয়ায় প্রথমে ভোট দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েন সদ্য সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা। তবে দ্বিতীয়বার তিনি ভোট দিতে সক্ষম হন।

সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরুর পরপর নগরীর আলমনগর কলেজ রোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে যান মোস্তফা। প্রথমে প্রায় ১০ মিনিট চেষ্টা করেও তিনি ভোট দিতে পারেননি। পরে অবশ্য দ্বিতীয় দফার চেষ্টায় তিনি সফল হন।


বিজ্ঞাপন


সদ্য সাবেক মেয়র বলেন, ‘আমি ভোট দিতে গিয়ে দেখি ইভিএম মেশিন হ্যাং হয়ে গেছে। মেশিন কোনো কাজ করছে না। প্রতিটি কেন্দ্রে ইভিএম মেশিন যদি সমস্যা করে, তাহলে ভোট প্রদান বিলম্বিত হবে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’

এ সময় জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইভিএমের এই সমস্যার দ্রুত সমাধানের জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় মহানগর এলাকায় মোট ২২৯টি ভোটকেন্দ্রে একযোগে ভোট শুরু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট চলবে। সবগুলো কেন্দ্রেই ইভিএমে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে।

সকালে ভোট শুরু সময় ভোটারদের কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি প্রার্থীদের সমর্থকদের ব্যাজ পরা লোকদের কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হতে দেখা গেছে। এছাড়াও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জোরালো উপস্থিতি দেখা গেছে।


বিজ্ঞাপন


এবার রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন এবং হিজড়া ভোটার একজন।

২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে নয়জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

rangpur2

নির্বাচনে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসার সমন্বয়ে প্রতিটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি মোবাইল ফোর্স মোতায়েন আছে। এছাড়া প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স এবং প্রতি থানায় একটি করে রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স সেই সাথে প্রতি দুটি সাধারণ ওয়ার্ডে একটি করে র‌্যাবের টিম থাকবে।

স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র‌্যাব/পুলিশের টিম আর গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে চারজন অস্ত্রসহ পুলিশ (একজন এসআই/এএসআই ও তিনজন কনস্টেবল), দুইজন অস্ত্রসহ অঙ্গীভূত আনসার ও ১০ জন লাঠিসহ অঙ্গীভূত আনসার/ভিডিপি সদস্য (৪ জন মহিলা ও ছয়জন পুরুষ) মোতায়েন থাকবে। এছাড়া ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

এই নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন নয়জন। তবে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় পার্টি মনোনীত মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ও স্বতন্ত্র হাতি প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলনের মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রতিনিধি/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর