দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর সিটি করপোরেশন রংপুরে চলছে ভোটগ্রহণ। তৃতীয় নগরপিতা বাছাই করতে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছেন এখানকার বাসিন্দারা। সোমবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে বিকেলে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
সকালে ভোট শুরু সময় ভোটারদের কেন্দ্রে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। পাশাপাশি প্রার্থীদের সমর্থকদের ব্যাজ পরা লোকদের কেন্দ্রের বাইরে জড়ো হতে দেখা গেছে।
বিজ্ঞাপন
এই নির্বাচনে ২২৯টি কেন্দ্রের সবগুলোতে ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে ইভিএমে। প্রতিটি কেন্দ্র পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরায়। সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণে সার্বিক প্রস্তুতি নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। অনিয়ম ঠেকাতে ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রসহ সব জায়গায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করছেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে বিপুল পরিমাণ পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ হয়েছে। একটি নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য যা যা করা দরকার, সব করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে বসানো হয়েছে সিসি ক্যামেরা। এক হাজার ৮০৭টি সিসি ক্যামেরার আওতায় মনিটরিং করা হবে নির্বাচন। এজন্য নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহেরও ব্যবস্থা হয়েছে।
আশাবাদ ব্যক্ত করে রিটার্নিং কর্মকর্তা আরও বলেন, রংপুরে একটি ভোট উৎসব হবে। এটি প্রশংসিত হবে এবং সবাই অন্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে রংপুরকে একটি মডেল হিসেবে স্মরণ করবে।

বিজ্ঞাপন
এদিকে ভোটাররা বলছেন, প্রচার-প্রচারণা ও গণসংযোগে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা এগিয়ে থাকলেও সমানতালে প্রচার-প্রচারণা শেষ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা ডালিয়া এবং হাতি প্রতীকে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লতিফুর রহমান মিলন। এই তিন মেয়র প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের সম্ভাবনাই দেখছেন তারা। কোনো কোনো ভোটার জাপার প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীর লতিফুর রহমান মিলনের মধ্যেই ভোট লড়াইয়ের কথাই বলছেন নানা সমীকরণ দেখিয়ে। সবকিছুর উত্তর মিলবে ভোটের ফলাফলের পর।
রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মোট ভোটার চার লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ এবং নারী ভোটার দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন এবং হিজড়া ভোটার একজন।
এবার ২২৯টি কেন্দ্রে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনে মেয়র পদে নয়জন এবং ৩৩টি ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন ও ১১টি সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
জেবি











































