মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

রংপুরে ভোট: ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় চোখ ইসির

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১১:২৮ এএম

শেয়ার করুন:

রংপুরে ভোট: ঢাকায় বসে সিসি ক্যামেরায় চোখ ইসির

প্রত্যেক কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরও যাতে করে ভোটে কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ কর নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই নির্বাচন এক হাজার ৮০৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


ঢাকা থেকে পর্যবেক্ষণের পাশাপাশি রংপুরে বসে রিটার্নিং কর্মকর্তাও নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করছেন।

নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব (জনসংযোগ) এস এম আসাদুজ্জামান  ঢাকা মেইলকে জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য তিন কমিশনার নির্বাচন কমিশন ভবনে বসে সিসি ক্যামেরায় ভোট দেখভাল করছেন। একমাত্র কমিশনার রাশেদা সুলতানা গাইবান্ধায় আছেন।

নির্বাচন কমিশনের আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর ইনহ্যান্সিং একসেস টু সার্ভিসেস (আইডিইএ) প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক কমিউনিকেশন স্কোয়াড্রন লিডার মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, রংপুরের ২২৯টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৮০৭টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। যা ঢাকা থেকে পর্যবেক্ষণ করা হবে। এই সিস্টেম রংপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তাকে দেওয়া আছে। তিনিও পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন।

এদিকে রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ৮৬টি কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা। সেই কেন্দ্রগুলোতে বেশি নজর দিয়েছে ইসি। নিরাপত্তাও অন্য কেন্দ্রের চেয়ে কিছুটা বেশি রয়েছে এসব কেন্দ্রে।


বিজ্ঞাপন


ec2

রংপুর সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বেগম রাশেদা সুলতানা। তিনি বলেছেন, ‘গাইবান্ধার মতো কোনো সমস্যা দেখা গেলে সঙ্গে সঙ্গে রংপুরের নির্বাচনও বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা গাইবান্ধা নির্বাচনে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। রংপুরে সমস্যা হলে ভোট বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনের তারিখ ছিল। কিন্তু ইভিএমে ভোটগ্রহণের মধ্যে সিসি ক্যামেরায় পুরো আসনের এক-তৃতীয়াংশ কেন্দ্রে অনিয়মের দৃশ্য দেখে মাঝপথে ঢাকা থেকে নির্বাচন বন্ধের নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।

এরপর এটা নিয়ে নির্বাচন কমিশনের করা তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে রিটার্নিং অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, প্রিজাইডিং অফিসার, পুলিশের উপ-পরিদর্শক, নির্বাহী হাকিমসহ শতাধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নির্বাচনী এজেন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

বিইউ/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর