জীবনযাত্রা সহজ করার লক্ষ্য নিয়ে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট পেশ করলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। এবারের বাজেট বক্তৃতার শিরোনাম হচ্ছে- ‘বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক ব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয়’। বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা, এটি জিডিপি’র ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। যা চলতি অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
বাজেটের আকার ও আয়-ব্যয়: প্রস্তাবিত ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরের বাজেটের চুড়ান্ত আকার (ব্যয়) ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। এতে মোট আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এটি জিডিপির ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটে ঘাটতির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা। এটি ছিল জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ।
বিজ্ঞাপন
বাজেটে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ও মূল্যস্ফীতি: বাজেটে জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতির গড় হার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাজেটে এডিপির আকার: আগামী বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটের আয় যেভাবে আসবে: বাজেটে রাজস্ব প্রাপ্তি কর থেকে আয় ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নিয়ন্ত্রিত কর ও এনবিআর বহির্ভূত করের মাধ্যমে আয় ধরা হয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা। আর এনবিআরবহির্ভূত কর থেকে আয় আসবে ১৯ হাজার কোটি টাকা। এছাড়াও কর ছাড়া প্রাপ্তি আসবে ৪৬ হাজার কোটি টাকা।
বাজেটের ঘাটতি যেভাবে পূরণ করা হবে: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মোট ঘাটতি ধরা হয়েছে ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা। এই ঘাটতি মোকাবেলায় অর্থায়নের উৎস হবে অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক ঋণ এবং অনুদান। বাজেট ঘাটতি পূরণে আগামী বাজেটে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে মোট ১ লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা এবং বৈদেশিক উৎস থেকে ১ লাখ ১ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার পরিবর্তে এবার অনেকটা বাস্তবমুখী বাজেটে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে । মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও মানুষের জীবনমান উন্নয়নকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে পরিচালন ব্যয় ছিল ৫ লাখ ৬ হাজার ৯৭১ কোটি টাকা। এবার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর ৫৭ ভাগই যাবে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন, ভর্তুকি, প্রণোদনা ও ঋণ পরিশোধে। নতুন বাজেটে সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য ১০ থেকে ২০ ভাগ মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হয়েছে।
এবারের বাজেটে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের কর কমতে পারে ২ দশমিক ৫ ভাগ। এতে এসব প্রতিষ্ঠানের কর নামবে ২০ শতাংশে। তবে অপরিবর্তিত থাকছে পুঁজিবাজারের বাইরের প্রতিষ্ঠানের করহার। এসব প্রতিষ্ঠানকে আগের মতোই ২৭ দশমিক ৫ ভাগ কর দিতে হবে। এছাড়া পুঁজিবাজারে ব্রোকারেজ হাউজের সিকিউরিটিজ লেনদেন কর শূন্য দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমে হচ্ছে শূন্য দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ। মার্চেন্ট ব্যাংকের করহার ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমে হচ্ছে ২৭ দশমিক ৫।
গতবারের মতো এবারও কালোটাকা সাদা করা করার সুযোগ থাকছে। এছাড়া, অপ্রদর্শিত অর্থ প্রতিরোধে, প্রকৃত মূল্যে রেজিস্ট্রেশন নিশ্চিতে করহার এলাকাভেদে ৮, ৬ ও ৪ শতাংশের পরিবর্তে কমে হচ্ছে যথাক্রমে ৬, ৪ ও ৩ শতাংশ।
এডিপি বরাদ্দ: ২ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা
জিডিপির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৫ দশমিক ৫ শতাংশ যেখানে ২০২৪-২৫ অর্থবছর জিডিপি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। সাময়িক হিসাবে অর্জিত হয়েছে ৩ দশমিক ৯৭ ভাগ। গত এপ্রিলের হিসেবে দেশের বর্তমান সার্বিক মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ১৭ শতাংশ। এবারের বাজেটে
মূল্যস্ফীতি কমিয়ে ৬.৫%-এ আনার পরিকল্পনা করা হয়। চলমান ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটেও সার্বিক মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা হল ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। বাজেটে পরিচালন ব্যয় ধরা হয়েছে মোট ৫ লাখ ৬০হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সুদ পরিশোধে সরকারের খরচ হবে ১ লাখ ২২ হাজার কোটি টাকা। এরপর ১৯ শতাংশ ব্যয় হবে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দিতে, টাকার অংকে যা ২ লাখ ৩৫ হাজার ১৮৬ কোটি টাকা।
করমুক্ত ব্যক্তি আয়সীমা: এবারের বাজেটে ব্যক্তির করমুক্ত আয়সীমায় কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি। অর্থাৎ বছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা আয় থাকলেই একজন ব্যক্তিতে আয়কর দিতে হবে। নারী ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা ৪ লাখ টাকা। আর প্রতিবন্ধীদের জন্য ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।
সামাজিক নিরাপত্তা: সামাজিক নিরাপত্তা খাতের ব্যাপ্তি এবং গুরুত্ব বিবেচনায় আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১ লক্ষ ১৬ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করছি। এ ক্ষেত্রে পেনশন ব্যতীত সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দের পরিমাণ দাঁড়াবে ৯১ হাজার ২৯৭ কোটি টাকা।
অর্থ উপদেষ্টা বাজেট বক্তৃতায় বলেন, ‘দরিদ্র, প্রান্তিক ও ঝুঁকিগ্রস্ত জনগোষ্ঠীর দারিদ্র্য হ্রাস, সামাজিক বৈষম্য হ্রাস এবং জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করতে এবারের বাজেটে সুবিধাভোগীর সংখ্যা এবং মাথাপিছু বরাদ্দ উভয়ই বৃদ্ধি করার দিকে নজর দিয়েছি।
শিক্ষা ও গবেষণা খাত: ২০২৫-২৬ বাজেটে শিক্ষা খাতে ৯৫,৬৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়। বাজেটের কিছু ভাল দিক যেমন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক-কর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা। চিনি-পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টনপ্রতি শুল্ক ৫০০ টাকা কমিয়ে ৪ হাজার টাকা করা হয়েছে। ফলে চিনির দাম কমানোর সুযোগ তৈরি হবে।স্যানিটারি ন্যাপকিন-স্যানিটারি ন্যাপকিনের স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায় ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।তরল দুধ-প্যাকেটজাত তরল দুধে স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।কলম-বলপয়েন্ট পেন বা কমলেও স্থানীয় পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।বিদেশি মাছ ও মাংস,আইসক্রিম,কম্পিউটার মনিটর, বিদেশি প্লাস্টিকের তৈজসপত্র,বিদেশি প্লাস্টিকের তৈজসপত্র সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে। বিদেশি পোশাক,পুরুষ, নারী ও শিশুদের বিদেশি পোশাকের ওপর সম্পূরক শুল্ক কিছুটা কমানো হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে।বিদেশি জুতা। বিদেশি জুতা ও স্যান্ডেল আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কিছুটা কমানো হয়েছে। ফলে দাম কমতে পারে।
এছাড়া বেশ কিছু নিত্য পন্যের দাম কমবে। দাম কমবে বিদ্যুৎ, শিল্পের কাঁচামাল, এলএমজি সিলিন্ডারের, দেশি সেনিটারী, টায়ার ও সারের দাম। এছাড়া আইসক্রিম, স্যানিটারি ন্যাপকিন, তরল দুধ। এবারের বাজেটে রেফ্রিজারেটর, ফ্রিজার, এয়ারকন্ডিশনার ও এর কম্প্রেসর উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক ২০২৮ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এবারের বাজেটে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য এককালীন অর্থ, মাসিক সম্মানী, চিকিৎসা ভাতা, বাসস্থানের ব্যবস্থা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে শহীদ পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের জন্য ৪০৫ কোটি ২০ লাখ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। নিঃসন্দেহে এ উদ্যোগটি প্রশংসার দাবিরাখে। বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান নিয়ে সুনির্দিষ্ট কিছু না থাকলেও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ১২৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। অতিরিক্ত ১০০ পন্যের শূন্য শুল্কের প্রস্তাব করা হয়। এ তালিকায় রয়েছে বস্ত্র খাতর কাঁচামাল, সামরিক যন্ত্রপাতিও শিল্প কারখানার যন্ত্রপাতি। ব্যাংকের আবগারি শুল্ক ১ লাখ টাকা থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত স্থিতির ওপর আবগারি শুল্কের প্রস্তাব।এটি স্বস্তি দায়ক প্রস্তাব। এতে আমানত কারিরা উৎসাহ পাবে। এছাড়া এল এন জি ভ্যাট অব্যাহতি দেওয়া জ্বালানি তেল স্থিতিশীল রাখবে। বাজেটের ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রা যা সহনীয় এবং অর্থায়ন যোগ্য। এর বেশি হলে ব্যাংকিং খাতের ওপর সুদের হার, মুদ্রা বিনিময়ের ওপরও প্রভাব পড়তো যা অর্থনীতির জন্য কঠিন হতো। বাজেটে প্রবৃদ্ধির পরিবর্তে আপাতত অর্থনীতির ভিত মজবুত করার দিকে সরকার অধিকতর নজর দিচ্ছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলা হয়েছে, বৈষম্যহীন ও টেকসই অর্থনৈতিক কাঠামো বিনির্মাণ। অর্থাৎ অন্তর্বর্তী সরকার এমন পরিবর্তন বা সংস্কার করতে চায়, যার মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য অর্জন করা যায়। কিন্তু বাজেটের ঘোষণায় দৃশ্যত সে রকম উদ্যোগ চোখে পড়ল না।
রাজনৈতিক সরকারের আমলে অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। তাদের নানা ধরনের অঙ্গীকার থাকে। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকারের সে রকম বাধ্যবাধকতা নেই। ফলে সার্বিকভাবে কাঠামোগত পরিবর্তনের সূচনা হবে, তেমনটা অনেকেই আশা করেছিল। কাঠামোগত পরিবর্তন করতে চাইলে বেশ কিছু কৌশলগত সংস্কার প্রয়োজন। এসব পরিবর্তন দীর্ঘমেয়াদি। তবে বাজেটে কিছু গুরুত্বপূর্ণ খাতে লক্ষ্য অর্জনের জন্য স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা দরকার ছিল।
আমাদের সমাজে দিনে দিনে বৈষম্য বাড়ছে। বিশেষ করে আমি বলব সুযোগ বৈষম্যের কথা। শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও নারী অধিকারের ক্ষেত্রে যে বৈষম্য আছে, সেই বৈষম্য আমলে নেওয়া দরকার ছিল। গত বারের মত এবারও বাজেটে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে যা ‘বৈষম্যমূলক’। এই সিদ্ধান্তের ফলে আবাসন খাতে অবৈধ অর্থের মালিকদের অধিকতর একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সৎ উপার্জনকারীদের ফ্ল্যাট বা ভবনের অংশীদার হওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবে। বাজেটে মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় রাখার উদ্যোগ থাকলেও রাজস্ব আহরনে সংশয় রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিমিষে এবং রাজস্ব আয়ের উচ্ছ লক্ষ্যমাত্রা সব মিলিয়ে বাজেট বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জিং হবে বলে বিশ্লেষকগণ মনে করছেন। বাজেটে বিনিয়োগের জন্য কাঠামোগত সংস্কার দরকার সে বিষয়ে তেমন কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। দেশের ৫৪ তম বাজেটটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট। নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে জন্য এ বাজেট নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ছিল বেশি। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ ও কিছু নিত্যপ্রয়োজনীয় পন্যের মূল্য সহনীয় রাখার জন্য সরকারের ভাল পদক্ষেপ থাকলেও বিনিয়োগ বৃদ্ধি, বেকারত্ব দূরীকরণ সর্বপরি বৈষম্য দূরীকরণের জন্য দৃশ্যমান কোন সংস্কার বাজেটে প্রতিফলন দেখা যায়নি। তবে বাজেট বাস্তবায়নের ওপরই জনগনের প্রত্যাশা পূরন কতটুকু হবে তা নির্ভর করবে। দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি, জবাবদিহিতা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করে বাজেট বাস্তবায়ন সরকার সজাগ থাকবে এটাই সকলের প্রত্যাশা।
লেখক: অর্থনীতি বিশ্লেষক