বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫, ঢাকা

৬৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ কমছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০২ জুন ২০২৫, ০৬:৪২ পিএম

শেয়ার করুন:

৬৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ কমছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায়

গত অর্থবছরের চেয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ৬৪১ কোটি টাকা বাজেট কমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ১০ হাজার ৩৬২ কোটি ১৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সোমবার (২ জুন) উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের দেওয়া ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরের বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য এ বরাদ্দ রাখা হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


বাজেটে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার পরিচালনা খাতে পাঁচ হাজার ৭৩৫ কোটি ৩০ লাখ ছয় হাজার টাকা এবং উন্নয়ন খাতে চার হাজার ৬২৬ কোটি ৮৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা রাখা হয়েছে।

এই বরাদ্দের আওতায় যে সকল কার্যক্রম রাখা হয়েছে, সেগুলো হলো- দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস, জরুরি সাড়া প্রদান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত আইন, নীতি, বিধিমালা, স্থায়ী নির্দেশাবলী ও কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, হালনাগাদকরণ ও বাস্তবায়ন; জরুরি মানবিক সহায়তা ও পুনর্বাসন-সংক্রান্ত নীতি ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন এবং সকল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির ডাটাবেজ প্রস্তুত ও সংরক্ষণ; দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস পরিকল্পনা প্রণয়ন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা কার্যক্রম গ্রহণ এবং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত স্থানীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে সমন্বয় সাধন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন; গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাজের বিনিময়ে খাদ্য) কর্মসূচি, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টেস্ট রিলিফ), ভিজিএফ, জিআর এবং এ ধরনের অন্যান্য কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে মানবিক সহায়তা প্রদান।

আগামী অর্থবছরে যেসব খাতে ব্যয় করা হবে, সেগুলো হলো- অতিদরিদ্রদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় বেকার জনগোষ্ঠীর কর্মসৃজন; দুর্যোগজনিত ঝুঁকিহ্রাস কার্যক্রম অব্যাহত রাখা এবং তাৎক্ষণিক প্রয়োজনে জিআর কর্মসূচি বাবদ ১ দশমিক ২৫ লাখ মে. টন খাদ্যশস্য এবং ভিজিএফ কার্যক্রম বাবদ ২ দশমিক ১০ লাখ মে. টন খাদ্যশস্য বিতরণ কার্যক্রম গ্রহণ; গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় ১৫১০ কোটি এবং গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় ১৪৫৫ কোটি টাকা ব্যয়ে গ্রামীণ এলাকায় গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাড়ি নির্মাণসহ অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন;  বন্যাপ্রবণ, নদীভাঙ্গন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র ও উপকূলবর্তী অঞ্চলসহ অন্যান্য ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকায় মাল্টিপারপাস সাইক্লোন সেন্টার নির্মাণ এবং পুরাতন আশ্রয় কেন্দ্রসমূহের পর্যায়ক্রমে মেরামত; উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দুর্যোগ আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন; জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রশিক্ষণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট স্থাপন; রেড ক্রিসেন্ট ভবন নির্মাণ; ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)-এর স্থায়ী ভবন নির্মাণ; গ্রামীণ এলাকায় হেরিংবোন বন্ড রাস্তা এবং গ্রামীণ রাস্তায় ১৫ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত সেতু/কালভার্ট নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়ন; ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যোগে উদ্ধার অপারেশন চালানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্ধার যন্ত্রপাতি ও যানবাহন সংগ্রহ প্রকল্প বাস্তবায়ন এবং এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তোলাসহ প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ প্রদান।

এই কাজে গত অর্থবছরে বরাদ্দ রাখা হয়েছিল ১১ হাজার তিন কোটি টাকা। এর মধ্যে পরিচালনা খাতে পাঁচ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা ও উন্নয়ন খাতে পাঁচ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা রাখা হয়েছিল।


বিজ্ঞাপন


এবারের বাজেট উপস্থাপনে সংসদ না থাকায় কোনো সংসদীয় আলোচনা বা বিতর্ক হবে না। তবে ঘোষণার পর প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর জনমত নেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় দেশের নাগরিকদের কাছ থেকে মতামত চাইবে, আর সেই মতামতের ভিত্তিতে বাজেটের চূড়ান্ত রূপ দেওয়া হবে। চূড়ান্তকরণের পর যেকোনো একদিন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বাজেট অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে। বৈঠকে অনুমোদন পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি একটি অধ্যাদেশ জারি করে বাজেটটি কার্যকর করবেন, যা আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

এমএইচএইচ/এফএ

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর