২০২৫-২৬ থেকে ২০২৭-২৮ পর্যন্ত সময়ে বাপেক্স কর্তৃক প্রয়োজনীয় জরিপের পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এছাড়া বাপেক্সের নিজস্ব রিগ দিয়ে ৬৯টি কূপ খনন ও ৩১টি কূপের ওয়ার্কওভার সম্পন্নের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টার বাজেট বক্তব্য সম্প্রচার করা হয়। সেখানে তিনি এ কথা বলেন।
বিজ্ঞাপন
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিল করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় ইতোপূর্বে সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনার নিমিত্তে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। রূপপুরে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।
তিনি আরও বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা, ২০০৮ যুগোপযোগী করে নতুন একটি নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের শতকরা ৩০ ভাগ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ‘ইন্টিগ্রেটেড পাওয়ার সেক্টর ম্যাস্টারপ্ল্যান’ তৈরি করা হয়েছে এবং এর আওতায় আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে ৩ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিচ্ছন্ন উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, পরিশোধিত তেলের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর ৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন অশোধিত তেল শোধন ক্ষমতাসম্পন্ন ইস্টার্ন রিফাইনারি লিমিটেড, ইউনিট-২ স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণের কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে।
এবারের বাজেটের আকার চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় কম। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সর্বশেষ বাজেটের আকার ছিল সাত লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকা, যা তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী উপস্থাপন করেন। তবে চলতি অর্থবছরের মাঝপথে কাটছাঁটের ফলে সেই বাজেটের বাস্তবায়নযোগ্য আকার দাঁড়ায় সাত লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা।
বিজ্ঞাপন
নতুন এই বাজেট আগামী ১ জুলাই থেকে কর্যকর হবে।
এমআর/এফএ
