২০২৫-২৬ অর্থবছরে ব্যাংকে আমানতের পরিমাণ তিন লাখ টাকা হওয়া পর্যন্ত আবগারি শুল্কে ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ আমানত তিন লাখ টাকা অতিক্রম করলেই কেবল আবগারি শুল্ক দিতে হবে।
বর্তমানে ব্যাংকে জমা এক লাখ পার হলেই ১৫০ টাকা শুল্ক কাটা হয়। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে এই সীমা বাড়িয়ে তিন লাখ টাকা করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আমানতের ওপরই কেবল আবগারি শুল্ক কাটা হয়, তেমন না। আমানত, ঋণ বা অন্য যেকোনো ধরনের জমার ভিত্তিতে বছরে একবার আবগারি শুল্ক বা এক্সাইজ ডিউটি কেটে সরকারি কোষাগারে জমা করে ব্যাংকগুলো।
বিদ্যমান নিয়মে- এক লাখ টাকার বেশি থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫০ টাকা কাটা হতো। আগামী অর্থবছর প্রথম ধাপ শুরু হবে তিন লাখ টাকা থেকে। বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকার বেশি থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৫০০ টাকা কাটা হয়। আর ১০ লাখ টাকার বেশি থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ৩ হাজার, ৫০ লাখ টাকার থেকে এক কোটি টাকা হলে ৫ হাজার, এক কোটির বেশি থেকে ২ কোটি টাকা পর্যন্ত ১০ হাজার টাকা কাটা হয়। আর ২ কোটির বেশি থেকে ৫ কোটি টাকা পর্যন্ত ২০ হাজার টাকা এবং ৫ কোটি টাকার বেশি যেকোনো অংকের ওপর ৫০ হাজার টাকা শুল্ক কাটা হয়।
রোববার (২ জুন) বিকেলে ঘোষিত বাজেটে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, জনসাধারণকে কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার জন্য কতিপয় ক্ষেত্রে ভ্যাট ও আবগারি শুল্ক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এক লাখ টাকার পরিবর্তে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত ব্যাংক স্থিতির ওপর আবগারি শুল্ক কাটা হবে না।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এর ফলে ছোট আমানতকারীরা ব্যাংকমুখী হবেন, যা আমানতের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞাপন
এটি দেশের ৫৪তম বাজেট এবং অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম বাজেট।
প্রতি বছর জাতীয় সংসদে বাজেট পেশ করা হলেও এবার সংসদ না থাকায় তা ঘোষণা করা হয় বেতার-টেলিভিশনের মাধ্যমে। এবারের বাজেটের আকার ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের তুলনায় সাত হাজার কোটি টাকা কম। এর আগে আজ দুপুরে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়।
এমআর/জেবি























































