নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যার প্রতিবাদে উত্তাল রাজধানী ঢাকা। কর্মদিবস উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে এসেছেন হাজারো মানুষ। প্রতিবাদে নেমেছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও।
সোমবার (০৭ এপ্রিল) সকাল থেকেই ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চলছে প্রতিবাদী মিছিল, বিক্ষোভ ও সমাবেশ। যেখানে হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে।
বিজ্ঞাপন
সরেজমিনে ঢাকার পল্টন, গুলিস্তান, শাহবাগ, ঢাবি ও আশেপাশের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ রাজপথে নেমে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। বিভিন্ন পেশাজীবী, রাজনৈতিক, ব্যবসায়ী সংগঠন, সাধারণ শিক্ষার্থী ও তৌহিদী জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলে উত্তাল ঢাকার সড়কগুলো।
কর্মসূচিতে দুই মেয়ে ও পুরো পরিবারসহ অংশ নিয়েছেন ব্যবসায়ী মো. রাজিব হোসেন। তিনি ঢাকা মেইলকে বলেন, এই কর্মসূচিতে অংশ নেয়া আমাদের ঈমানি দায়িত্ব। ইসরায়েলের বর্বর বাহিনী মায়ের কোলের শিশুকেও ছাড়ছে না। তাই আমার চোখের মনি দুই শিশু মেয়েকেও নিয়ে এসেছি। ইসরায়েল হত্যাযজ্ঞ চালাবে, আর পুরো পৃথিবীর মুসলিমরা তা তাকিয়ে দেখবে, এটা হতে পারে না। এরই প্রতিবাদে আমরা মাঠে নেমেছি।
বিজ্ঞাপন
গৃহিনী শারমিন আখতার ঢাকা মেইলকে বলেন, এমন হত্যাযজ্ঞ দেখে বাড়িতে বসে থাকা যায় না। তাই রাজপথে নেমেছি। শুধু আমি না, অনেক নারী রাজপথে আছে। আমি যেমন পুরো পরিবারসহ এসেছি। অনেক পরিবারকে আসতেও দেখছি।
আকবর আলী নামের এক বয়ঃবৃদ্ধ ঢাকা মেইলকে বলেন, আমারা জিহাদ ঘোষণা করেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত ফিলিস্তিন ইসরায়েলের আগ্রাসন মুক্ত না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের প্রতিবাদ চলবেই। পৃথিবীজুড়ে মুসলিমদের ওপর যে নির্যাতন চলছে, তার ধ্বিক্কার জানান তিনি।
এদিকে, ইসরায়েলের আগ্রাসনের প্রতিবাদে বৈশ্বিক ধর্মঘটে সংহতি জানিয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন। ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দিয়ে কাজ এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
এমই/ইএ