খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, ইসরায়েলি আগ্রাসনে ফিলিস্তিনের গাজায় প্রতিনিয়ত হাজার হাজার মানুষ হত্যার শিকার হচ্ছে। তাদের বর্বরতা থেকে নারী-শিশু কেউ রেহাই পাচ্ছে না। অনবরত বোমার আঘাতের মসজিদ-মাদরাসা, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অথচ বিশ্ব মানবতা তার দিকে কোনো নজর দিচ্ছে না। তাদের নীরব ভূমিকার কারণে প্রতিনিয়ত হামলার মাত্রা তীব্র হচ্ছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে এ সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বিজ্ঞাপন
উপাচার্য বলেন, দখলদার ইসরায়েলি বর্বরতা রুখে দিতে অখণ্ড ফিলিস্তিনের পক্ষে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গাজা, পশ্চিম তীরসহ ফিলিস্তিনের সব অঞ্চলের মানুষের স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় মুসলিম বিশ্বকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে।
ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসন ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে প্রতিবাদ সমাবেশ ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন।
উপাচার্য আরও বলেন, বছরের পর বছর ইসরায়েলের হামলার শিকার হচ্ছেন ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষরা। অথচ বিশ্ব মোড়ল তথা পশ্চিমা বিশ্ব ইসরায়েলের এই বর্বরতাকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। যে-সকল শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াচ্ছে কিংবা সমর্থন দিচ্ছে, তাদের ভিসা বাতিল করছে। এই অন্যায়-অবিচারের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিশ্ব সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনের নির্যাতিত-নিপীড়িত জনগণের পক্ষে দাঁড়িয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
এসময় আরও বক্তৃতা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর শেখ মাহমুদুল হাসান, খান বাহাদুর আহছানউল্লাহ হলের প্রভোস্ট প্রফেসর শরিফ মোহাম্মদ খান, ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত এবং সহকারী ছাত্র বিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ। শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বক্তৃতা করেন অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের ’২১ ব্যাচের শানিল সরদার, ব্যবসায় প্রশাসন ডিসিপ্লিনের তামিম।
বিজ্ঞাপন
পরে ‘মার্চ ফর প্যালেস্টাইন’ হাদী চত্বর থেকে র্যালিসহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনের পক্ষে নানা ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। পরে ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিশ্বব্যাপী নির্যাতিত মুসলমানদের জন্য বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা পরিচালনা করেন শিক্ষার্থী তমিজ।
প্রসঙ্গত, ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি বর্বর আগ্রাসন ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞের প্রতিবাদ এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সংহতি প্রকাশ করে। একই সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সকল ডিসিপ্লিনে আজ স্পেশাল টার্মের পরীক্ষা ছিল, তা স্থগিত করা হয়।
প্রতিনিধি/ এজে