ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েলি গণহত্যার বিরুদ্ধে দেশজুড়ে নজিরবিহীন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। এই কর্মসূচি চলাকালে সিলেট, কক্সবাজার, খুলনাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় কথিত ইসরায়েলি পণ্য বিক্রির অভিযোগে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বাহারুল আলম।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে পুলিশ প্রধান এই নির্দেশ দেন। প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজ থেকে সেই নির্দেশনা প্রচার করা হয়।
বিজ্ঞাপন
নির্দেশনায় আইজিপি বলেন, ‘আমাদের কাছে হামলাকারীদের ভিডিও ফুটেজ আছে। তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে এবং অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। পুলিশ দল বর্তমানে এ নিয়ে কাজ করছে।
আইজিপি বলেন, সরকার কোনো আইনি প্রতিবাদে বাধা দেয় না। তবে প্রতিবাদের আড়ালে কোনো অপরাধ আমরা বরদাশত করব না।
এদিকে দেশে যখন বিদেশি বিনিয়োগকারীদের একটি সম্মেলন চলছে তখন এই ঘটনাকে দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী। তিনি বলেন, এমন একটি সময়ে যখন আমরা বাংলাদেশকে একটি বিনিয়োগের গন্তব্য হিসেবে প্রদর্শন করার জন্য একটি শীর্ষ সম্মেলন আয়োজন করছি, তখন আমাদের দেশবাসীকে এমন শোচনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে দেখা দুর্ভাগ্যজনক।
বিজ্ঞাপন
আশিক চৌধুরী বলেন, এই ব্যবসাগুলোর মধ্যে অনেকেই স্থানীয় বিনিয়োগকারী ছিলেন, তাদের মধ্যে কিছু বিদেশি যারা বাংলাদেশে বিশ্বাস করত। তারা সবাই আমাদের তরুণদের কাজের সুযোগ দিয়েছে। যারা ভাঙচুরের এই জঘন্য কাজ করেছে তারা চাকরি সৃষ্টি, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং স্থায়িত্বের সত্যিকারের শত্রু।
এর আগে কর্মসূচি চলাকালে সিলেট, কক্সবাজার, খুলনাসহ দেশের কয়েকটি অঞ্চলে কথিত ইসরায়েলি প্রতিষ্ঠান দাবি করে বাটা জুতা, কেএফসি, পিজ্জা হাটসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় স্থানীয় জনতা।
জেবি