রঙের ছোঁয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মিঠুর ঘরে ‘জীবন্ত নেইমার’

ব্রাজিলের হেক্সা বিজয় হোক বা না হোক—আনন্দের কমতি নেই ব্রাজিল সমর্থকদের। খবর পেয়ে বা ফেসবুকে ছবি দেখে অনেক ভক্ত আসছেন রঙে আঁকা নেইমারের সঙ্গে সেলফি তুলতে। চলতি আসরের খেলাগুলোতে এ ঘর ভরে উঠে ব্রাজিল ভক্তদের তীর্থস্থান। যেদিন ব্রাজিলের খেলা থাকে, ওইদিন এই ঘরকে ঘিরে উচ্ছ্বাস থাকে আরও বেশি। 

বাংলাদেশ ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে অনার্স ও মাস্টার্স পাস করেন মিঠু। তিনি বলেন, নেইমারকে দেখলেই হৃদয়ে অন্যরকম ভালোলাগা জন্মে। বাড়ি করার সময় চিন্তা করেছিলাম, ঘরের ভেতরে ব্রাজিলের পতাকার রঙের আদলে রঙ করব। এখনতো ব্রাজিল মানেই নেইমার, নেইমার মানেই ব্রাজিল। এ জন্য নেইমারের প্রতি আমার এ ভালোবাসা। 

তিনি বলেন, ঘুম থেকে উঠেই যখন নেইমারকে দেখি, তখন ভালোই লাগে, যত দেখি, ততই ভালো লাগে। 

ঘরটিকে নেইমার ও ব্রাজিলময় করে তুলতে কোনো পারিশ্রমিক নেননি বন্ধু আজফারুল আলম সামি। তাকে ধন্যবাদ জানান মিঠু। 
এবারের বিশ্বকাপ নেইমারের হাতে উঠবে এমন প্রত্যাশা করে মিঠু বলেন, আমি যখন একদম ছোট, সেটা ২০০২ সালে, তখন ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছিল। এরপর আর জেতেনি। আমিসহ অসংখ্য ভক্তদের আশা ব্রাজিলেই যাবে এবার বিশ্বকাপ। 

মিঠুর প্রতিবেশি মো. জিয়াউর রহমানও ব্রাজিলের সমর্থক। তিনি বলেন, মিঠু যখন বলেছিল সে ঘরে এমন রঙ করতে চায়, তখন আমরা বন্ধুরা তাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছি। এখন তো এই বাড়িটি ব্রাজিলিয়ান ভক্ত বাড়ি হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেছে। 

তিনি আরও বলেন, এই ঘরে রঙের ছোঁয়ায় ব্রাজিল ও নেইমারকে ফুটিয়ে তুলতে আমরা বন্ধু মহলের সবাই তাকে উৎসাহ দিয়েছি। এখানে ব্রাজিলের সমর্থকরা আসেন ছবি তুলতে, সেলফি তুলতে। বন্ধুরাসহ ব্রাজিলের অনেক সমর্থক এই ঘরে বসে আনন্দ করে খেলা দেখেন। 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র মীর মো. শাহীন জানান, আজহারুল হাসান মিঠু ব্রাজিলের পাগল ভক্ত। আগের বিশ্বকাপগুলোতেও দেখেছি ব্রাজিলের সমর্থনে বিভিন্নভাবে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে। এবার কাতার বিশ্বকাপকে সামনে রেখে সে নিজের ঘরে নেইমার ও ব্রাজিলের পতাকা এঁকেছে। তার এমন উদ্যোগে খুশি ব্রাজিল ভক্তরা। অন্যরা যেখানে বাড়ির বাইরে দেয়ালে বা বাউন্ডারিতে প্রিয় তারকার বড় ছবি আঁকে, সেখানে মিঠু শোয়ার ঘরে ছবি এঁকে ব্যতিক্রম প্রেমের দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করেছে।

প্রতিনিধি/এইচই