মঙ্গলবার বিকেল থেকে ছিল বৃষ্টির বাগড়া। হঠাৎ বৃষ্টিতে অনেকে বিপাকে পড়েন। এর মাঝেও কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে উঠেছিল জাতীয় সংসদের সামনের মানিক মিয়া এভিনিউ। জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে চলমান অনুষ্ঠানস্থলসহ আশপাশের এলাকায় ছিল শতশত মানুষ। তবে এখানে আসা বেশিরভাগ লোকই এসেছিল বিশ্বখ্যাত নোবেল বিজয়ীকে একপলক দেখতে, তার কথা শুনতে। বৃষ্টিতে ভিজেই ইউনূসপ্রিয়রা তার পুরো বক্তব্য শুনেছেন।
পুরান ঢাকা থেকে এসেছেন রবিউল আলম। সঙ্গে তার দুই ছোট ছেলে। তিনি এত ভীড়ে কেন তার ছোট দুই সন্তানকে নিয়ে এলেন— প্রশ্ন করতেই তার জবাব- তাদেরকে ডক্টর ইউনূসকে দেখাবো বলে নিয়ে এসেছি। তারা হয়তো সরাসরি দেখতে পারেনি। কিন্তু বড় এলইডি মনিটরে তাকে তো দেখেছে। আরো দেখলো জাতীয় সংসদ ও এত লোক তাকে পছন্দ করে, ভালোবাসে সে চিত্র। বড় ছেলে ইউনূসকে টিভিতে দেখেছে বহুবার। আজ বলছিল, বাবা চলো আজ ইউনূস আংকেলকে দেখব।
বিজ্ঞাপন
ড. ইউনূসের আরেকজন ভক্ত পাওয়া গেল মঞ্চের দক্ষিণ পাশের সড়কে। পটুয়াখালী ইমন। পানি বিক্রি করে চলে তার সংসার। তিনি বলছিলেন, আমি একজন ইউনূস স্যারের ভক্ত। পুলিশ তো ঢুকতেই দেবে না। এজন্য খুব সকালে আসছি। পানিও বিক্রি করলাম, তাকেও দেখলাম।
তাদের মতোই যাত্রাবাড়ী থেকে এসেছিলেন সালাম ও সায়েম দুই ভাই। তারা জানান, কনসার্ট নয়- মূলত ডক্টর ইউনূসকে দেখার জন্যই তারা সকাল সকাল বাসা থেকে এখানে এসেছেন। যদিও নিরাপত্তার জন্য মঞ্চের সামনে তারা যাওয়ার অনুমতি পাননি।

দেখা গেছে, সকাল থেকে প্রোগ্রাম চললেও বিকেল থেকে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে লোকজনের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ইউনুসের বক্তব্য শুরু হলে শতশত লোকজন বৃষ্টিতে ভিজে তার বক্তব্য শুনতে ও বড় এলইডি মনিটরে দেখতে শুরু করে। তবে যতোক্ষণ বক্তব্য চলেছে পুরো কনসার্ট এলাকাজুড়ে ছিল নিরবতা। কোন হট্টগোল ছিল না। অনেকে এলইডি মনিটর ছাড়াও যারা মঞ্চের সামনে বসেছিলেন তাদের অনেকে সেলফি তুলেছেন এই মাহেন্দ্রক্ষণকে স্মৃতি ফ্রেমে বেঁধে রাখতে৷
বিজ্ঞাপন
ইউনূসের বক্তব্য চলাকালেও বৃষ্টি চলছিল। তবে সেদিকে অধিকাংশ লোকজনের কোনো খেয়াল ছিল না। বিকেলে আসা লোকজনের অধিকাংশ ছাতা নিয়ে এসেছিলেন। ফলে ছাতাকে মাথার ওপর ঠেকিয়ে ইউনূসের বক্তব্য বিভোর হয়ে শুনেছেন তারা।
এমআইকে/ক.ম

















































































