ফ্যাসিবাদ পতনের বর্ষপূর্তিতে জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠান দেখতে কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে এসেছেন সেলিম দম্পতি। সঙ্গে তাদের তিন বছরের মেয়ে সন্তান। সেই দুপুর থেকেই তারা অনুষ্ঠানস্থলে অবস্থান করছিলেন। কিন্তু বেলা সোয়া ৪টার আগে থেকে বৃষ্টি শুরু হলে তারা বিপাকে পড়েন। ছোট সন্তানকে নিয়ে আশ্রয় নেন কনসার্টের পেছনে রাস্তার ডিভাইডারের গাছের নিচে।
শুধু সেলিম দম্পতি নয়, কনসার্টে আসা শতশত মানুষ বিপাকে পড়েছেন। এর মাঝে চলছে কনসার্ট। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও যে যার মতো অবস্থানে নিজেকে বৃষ্টি থেকে রক্ষার চেষ্টা করছেন।
বিজ্ঞাপন
সেলিম বলেন, বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে, মেয়েকে নিয়ে কোথায় একটু বসব, জায়গা খুঁজতেছি, কারণ সে তো বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে। ছোট মানুষ ভিজলে জ্বর হতে পারে।
নগর পুলিশের পক্ষ থেকে তৈরিকৃত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুমের দেখা গেল র্যাবের প্রধান ও ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনারকে। এছাড়াও র্যাব ও পুলিশ সদস্যদের তাদের বাহিনীর পক্ষ থেকে পাওয়া ছাতাগুলো ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে থেকে থেকে চলছে হালকা বৃষ্টি। বৃষ্টির পানিতে তেমন জোর নেই, কিন্তু এর মাঝেও শরীর ভিজছে। অনেকে বিরক্ত হয়ে চলেও যাচ্ছেন। আবার কেউ কেউ নতুন করে এসে যোগ হচ্ছেন।
ধানমন্ডি থেকে এসেছেন সিয়াম ও রিফাত। তারা নোয়াখালী থেকে কাজে এসে এর ফাঁকে ড. ইউনূসকে দেখবেন বলে কনসার্টে এসেছেন। কিন্তু ঘণ্টাব্যাপী বৃষ্টির কারণে একটি গাছের নিচে আশ্রয় নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন কখন ইউনূস বক্তব্য রাখবেন।
বিজ্ঞাপন
সাভার থেকে এসেছেন লিটন ও তার বন্ধুরা। তারা জানান, আমরা সকালে এসেছি। তখন তো জানতাম না বৃষ্টি হবে! এখন এখানে এসে ভিজে গেছি। তবুও আছি দেখি আসল কনসার্ট কখন শুরু হয়।
এমআইক/এআর

















































































