শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

ব্যাংকার ছিলেন শহীদ ইয়ামিনের বাবা, চাইলেন লুটপাটকারী ও সহযোগীদের বিচার

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৪ আগস্ট ২০২৫, ০৯:১৩ পিএম

শেয়ার করুন:

bank
বাবা মহিউদ্দিন ও ইনসেটে ইয়ামিনের মরদেহ ফেলে দেওয়ার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আলোচিত শহীদ শাইখ আসহাবুল ইয়ামিনের বাবা মো. মহিউদ্দিন পেশায় ছিলেন একজন ব্যাংকার। ব্যাংক খাতে লুটপাটের সহযোগী হবেন না-এজন্য ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়েছিলেন তিনি। এবার ব্যাংক খাত লুটপাটকারী ও লুটের সহযোগীদের বিচার চাইলেন তিনি।

সোমবার (৪ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ ব্যাংকে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এই বিচার দাবি করেন।


বিজ্ঞাপন


মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘আমিও একজন ব্যাংকার ছিলাম। ব্যাংক লুটপাটে সহযোগিতা না করার জন্য ২০১৭ সালে চাকরি ছেড়েছিলাম। কিন্তু ব্যাংক খাতে নজিরবিহীন লুটপাট হয়েছে। আমাদের সমাজব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে।’

ইয়ামিনের বাবা বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসররা এখনো ব্যাংকগুলোতে বহাল তবিয়তে রয়েছে। এই দোসরদের স্ব-অবস্থানে রেখে শুধু তাদের বদলি করে দিয়ে আমাদের যে আহ্বান তা কোনোদিন পূরণ হবে না। শর্ষের মধ্যে ভূত রেখে ভূত কখনও তাড়ানো যাবে না।’

আরও পড়ুন

সাভারে এপিসি থেকে ফেলে ইয়ামিন হত্যা মামলায় পুলিশ সদস্য গ্রেফতার

মহিউদ্দিন বলেন, ‘এখানে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আছেন। আমাদের কিছু প্রস্তাব আছে। আমাদের সন্তানরা, জুলাইযোদ্ধারা স্বৈরাচার শাসকের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছে। স্বৈরাচার পালাতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এই স্বৈরাচারের আরেকটা যে শক্তির জায়গা হচ্ছে লুটপাটের অর্থকরি। সেটা যেমন বিদেশে আছে, তেমনি দেশেও আছে। আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশেও বাংলা নোট চেঞ্জ করা যায়। সেখানে এটা সহজলভ্য। আমি মনে করি ৫০০-১০০০ টাকার নোট ব্যান করলে স্বৈরাচারের হাতে যে টাকা আছে সেই টাকাগুলো আটকে যাবে। যদি ব্যাংকিং চ্যানেলে জমা না হয় তবে আমাদের মল্যস্ফীতি কিছুটা হলেও কমবে।’


বিজ্ঞাপন


সাবেক এই ব্যাংকার বলেন, ‘আমার আরেকটা অনুরোধ, ক্যাশ ট্রান্জেকশনের লিমিট ৫০ হাজারে বেশি করা যাবে না। কারণ এদেশের যত ঘুষ, চোরাকারবারি, অবৈধ লেনদেন সবই হয় নগদ টাকার মাধ্যমে। এখন আমাদের গ্রাম পর্যায়ে নগদ বিকাশ এবং অনলাইন ব্যাংকিংয়ের কারণে আমরা যেকোনো সময় ক্যাশলেস লেনদেন করতে পারি। এতে টাকা ছাপাতে যে অতিরিক্ত ব্যয় হয় সেটা বেঁচে যাবে। আমরা যদি যদি চুরি, লুটপাট, চাঁদাবাজ বন্ধ না করতে পারি তবে এগিয়ে যেতে পারব না। এজন্য আমাদের কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে হবে।’

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আসহান এইচ মনসুর, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব নাজমা মোবারেক প্রমুখ।

টিএই/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর