শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়েও উপেক্ষিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসাপড়ুয়ারা

মো. আব্দুস সবুর (লোটাস)
প্রকাশিত: ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫৪ এএম

শেয়ার করুন:

julay
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসাপড়ুয়াদের ভূমিকা ছিল উজ্জ্বল। ছবি: সংগৃহীত

গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের যে আন্দোলন সেটা প্রথমে ছিল সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই সেই আন্দোলনের সূচনা করেন। তবে এক পর্যায়ে আন্দোলন ঠেকাতে সরকারি বাহিনী ও দলের মরিয়া চেষ্টা এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একযোগে বন্ধের ফলে আন্দোলনে অনেকটা ভাটার টান লক্ষ্য করা যায়। সেই আন্দোলনে নতুন গতি সঞ্চার করেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সঙ্গে যোগ দেন মাদরাসাপড়ুয়ারাও। মূলত তারাই আন্দোলনের মোড় ঘুরিয়ে দেন। অথচ বাহ্যত কোটার সঙ্গে তাদের কোনো সংযোগ ছিল না। কিন্তু আন্দোলন সফল হওয়ার পর এর ক্রেডিট নিয়ে চলছে কাড়াকাড়ি। সেই ক্রেডিটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় এবং মাদরাসাপড়ুয়ারা অনেকটাই স্বীকৃতিহীন।  

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাবির বাইরের সমন্বয়করা জানান, আন্দোলনের সময় কোনো কিছু চিন্তা না করে যতটা সম্ভব বৈষম্যবিরোধী কর্মসূচি সফল করেছিলেন তারা। কিন্তু ফ্যাসিস্ট পতনের পর কেউ আর তাদের খোঁজ-খবর নেয়নি। বরং আন্দোলনের ক্রেডিট নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে কাড়াকাড়ি চলছে। তারা এর বাইরের কাউকে সেভাবে গুরুত্বই দেয়নি।


বিজ্ঞাপন


সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আন্দোলনের পর ছাত্রদের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক সংগঠন হয়েছে। এর মধ্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), জুলাই ঐক্য, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, আপ বাংলাদেশ, ইনকিলাব মঞ্চ ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে। এসব সংগঠনের বেশির ভাগই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ছাত্রদের নেতৃত্বে। প্রধান থেকে শুরু করে কমিটির ৭০ শতাংশ নেতাকর্মী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অল্পস্বল্প সুযোগ পেলে উপেক্ষিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসা শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলন রাজপথে গড়ালে ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ নির্বিচারে হামলা চালায়। তাদের নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি মেয়েরাও। এই অন্যায়-অবিচার দেখে মাঠে নামেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও। অথচ যে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলন সেই কোটা তাদের কর্মক্ষেত্রে খুব একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। একইভাবে মাদরাসা ছাত্রদের সঙ্গেও কোটার কোনো সংযোগ নেই। তবু তারা রাজপথে নেমে এসেছিলেন অন্যায়ের প্রতিবাদে।  

জুলাই আন্দোলনে প্রথম লাশ পড়ে ১৬ জুলাই। সেদিন রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ, চট্টগ্রামের ওয়াসিমসহ ছয়জন মারা যাওয়ার পর আন্দোলন ব্যাপক আকার ধারণ করে। সেই আন্দোলন দমাতে ১৭ জুলাই মধ্যরাতে ইউজিসির মাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ঢাবিসহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় তৎকালীন সরকার। বন্ধ করে দেওয়া হয় হলগুলো। এতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা অনেকটা বিপাকে পড়েন। সেই মুহূর্তে রাজপথে নেমে আন্দোলনের গতি ধরে রাখে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

Brak1
আন্দোলনের গতি ধরে রাখেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার উত্তরা, প্রগতি সরণি, নতুনবাজার-ভাটারা, রামপুরায় যে তুমুল আন্দোলন গড়ে উঠে সেটা মূলত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বেই। এছাড়া অরাজনৈতিক সংগঠন হিসেবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংগঠন পুসাব-এর ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। আন্দোলনের শুরু থেকে ১৮ জুলাই বিকেলে ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট হওয়ার আগ পর্যন্ত আন্দোলনের প্রতিটি তথ্য, ছবি-সহ আপডেট দিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের চাঙ্গা রাখার মুখ্য ভূমিকা রেখেছিল এই সংগঠন। ইন্টারনেট ব্ল্যাকআউট হওয়ার পর বিদেশে অবস্থানরত তাদের ফেসবুকের অ্যাডমিনরা সঠিক তথ্য এবং বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থা দেশের বাইরের মানুষের মাঝে পৌঁছে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করে। ১৯ জুলাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ও ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে হামলা করলে পাশে দাঁড়াতে নর্থ সাউথ, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল, ইনডিপেনডেন্ট, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সসহ অন্য হাজার হাজার শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে রামপুরার উদ্দেশে যাত্রা করলে মধ্যবাড্ডায় পুলিশ মিছিলে গুলিবর্ষণ করে। একই দিন মিরপুরে বিইউবিটি, বিইউপিসহ আশপাশের কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা হয়। এয়ারপোর্ট এলাকায় ঢাল হয়ে দাঁড়ায় নর্দার্ন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা। উত্তরায় ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি, শান্ত-মারিয়াম, উত্তরা ইউনিভার্সিটি; মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, সংসদ ভবন এলাকায় ইউল্যাব, ইউডা, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন। বাড্ডা ও উত্তরা এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটিসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা প্রায় পুরো রাজধানীর রাস্তা অবরোধ করেন। এতে ব্যাপক সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। অনেক শিক্ষার্থী নিহত ও আহত হন।

প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যালায়েন্স অব বাংলাদেশের (পুসাব) এক শীর্ষ নেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে আমাদের অবদানের স্বীকৃতি আমরা পাইনি, আমরা পুরোপুরিই উপেক্ষিত রয়ে গেছি। রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে আমাদের শামিল করা হয়নি।’

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া সাকিন শাদাব ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের পর থেকে বিভিন্নভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পিছিয়ে রাখার একটা চেষ্টা করা হয়েছে। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা রাজনীতি করতে চায় তাদের সেভাবে ফ্লোরও দেওয়া হচ্ছে না। সত্য বলতে, আন্দোলন সফল হওয়ার আগে আর পরের মধ্যে বিশাল একটা বৈষম্য তৈরি হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক একটা বলয় সব সময় নিজেদের কর্তৃত্ব বজায় রাখতে এসব করছে।’

ঢাকা কলেজের একজন আন্দোলনকারী নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আন্দোলনের পর ঢাবির সবচেয়ে নোংরা চর্চা ভাই-ব্রাদার কোরাম সেটায় বন্দী হয়েছে অভ্যুত্থানের ক্রেডিট। তারা নিজেরাই ক্রেডিট নিতে একে-অপরের বিরুদ্ধে কাদা ছোড়াছুড়ি করছে। এছাড়া ঢাবির বাইরের সমন্বয় ও আন্দোলনকারীদের সেই শুরু থেকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা হয়নি।’

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অবিস্মরণীয় অবদান

জুলাই আন্দোলনে স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সক্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মাদরাসা শিক্ষার্থীদের। ওই সময় যাত্রাবাড়ী, উত্তরা, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদরাসা ছাত্রদের বড় ভূমিকা ছিল। বিশেষত ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে মাদরাসা ছাত্রদের প্রতিরোধ আলোচিত ঘটনা ছিল।

মাদরাসা ছাত্ররা ১৭ জুলাই থেকে যাত্রাবাড়ীতে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। ওইদিন রাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত তাদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এছাড়া ছাড়া ৩ থেকে ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ী এলাকায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী-জনতা ও পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।

আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে শতাধিক নিহত এবং সহস্রাধিক আহত হয়েছেন। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের শহীদদের তালিকা বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, আন্দোলনে যাত্রাবাড়ীতে নিহত হন অন্তত ১১৫ জন। এর বড় একটি অংশ মাদরাসা শিক্ষার্থী।

Madrasa
পুরো আন্দোলনে সক্রিয় ছিল মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

যাত্রাবাড়ীর একজন মাদরাসা শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘আমরা আন্দোলনের সময় অনেকেই নিয়মিত রাস্তায় নেমেছিলাম। ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে সরানোর জন্য বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সব কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলাম। কিন্তু আন্দোলন সফল হওয়ার পর আমাদের অস্তিত্বের কথা কেউ বলছে না। অনেক রাজনৈতিক দল গঠন হয়েছে, সেগুলোয়ও আমাদের সেভাবে ডাকা হয় না।’ একই ধরনের অভিযোগ আরও কয়েকজন মাদরাসা শিক্ষার্থীও করেন।

মাদরাসা শিক্ষার্থীদের অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে ইতোমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে যাত্রাবাড়ীতে একটি অনুষ্ঠান করা হয়েছে। তবে এটাকে যথেষ্ট মনে করছেন না আন্দোলনকারীরা। তারা বলছেন, বিগত সরকারের আমলে সবচেয়ে বেশি বৈষম্যের শিকার মাদরাসা শিক্ষার্থীরা। সেই বৈষম্যের যথাসম্ভব অবসান ঘটাতে পারলেই তাদের অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি দেওয়া হবে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আয়াতুল্লাহ বেহেশতি ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমরাই প্রথম ১৮ জুলাই প্রগতি সরনি রোডে এক দফার দাবি তুলেছিলাম যে, শেখ হাসিনার পদত্যাগ। পরবর্তী সময়ে আমরা প্রতিদিন আন্দোলন চালিয়ে যাই। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান সফল হওয়ার পর ঢাবির ছাত্রশক্তি কেন্দ্রীয় একটা ভাই-ব্রাদার কোরাম গড়ে ওঠে। যারা নিজেরা সব সময় আন্দোলনের ক্রেডিট দাবি করেন। নানাভাবে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও মাদরাসার শিক্ষার্থীদের উপেক্ষিত করা হয়েছে।’

ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ  ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শুরুর দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটা বড় অংশ নেতৃত্ব দিয়েছে। তবে আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে তখন দেশের অনন্যা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ব্যাপক ভূমিকা পালন করেছে। এছাড়া রাজধানীর শ্রমজীবী মানুষেরাও রাজপথে নেমে আসে। কিন্তু আন্দোলন পরবর্তী ঢাবির ছাত্রশক্তির বাইরের কাউকে সেভাবে আন্দোলনের স্বীকৃতি দেন না তারা৷ আন্দোলনের ক্রেডিটসহ সবকিছু নিজেদের কুক্ষিগত করার জন্য নানা কথাবার্তা শুরু করেন। এটি আমাদের অভ্যুত্থানের ঐক্যকে হালকা করেছে। এটি রাজনীতির ক্ষেত্রে অত্যন্ত শিশুসুলভ আচরণ।’

এসব বিষয়ে জানতে জুলাই ঐক্যের অন্যতম নেতা রিফাত রশিদের মুঠোফোনে কল দিয়ে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক পার্টির মিডিয়া উইংয়ের দায়িত্বে থাকা মুশফিক উস সালেহীন ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থান কারো একার দ্বারা হয়নি। আমাদের দলের আহ্বায়ক গতকাল (৩ আগস্ট) শহীদ মিনারে ইশতেহার দেওয়ার আগে জানান, এক দফার প্রকৃত ঘোষক হলেন জনগণ। তাই আন্দোলন পরবর্তী বিভিন্ন রাজনৈতিক দল নিজেদের মতো করে তাদের অবদান সবার সামনে তুলে ধরছেন। এটা কোনো মন্দ ব্যাপারও নয়। বরং অন্য কিছু দল আরও আন্দোলনের কলকাঠির নাড়াসহ সবকিছু করেছে বলে দাবি করেছেন। তবে এই অভ্যুত্থান সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল হয়েছে।’

এএসএল/জেবি

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর