সব কাজে নারীর অংশগ্রহণ যেমন বেড়েছে, তেমনি দেশের রাজনীতিতেও নারীর অবস্থান এখন অনেকটা সুদৃঢ়। তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের চাইতে নারী নেতৃত্বে এগিয়ে রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে চলমান দলটিতে সবচেয়ে বেশি পদধারী নারী রয়েছেন।
নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলের কমিটিতে কমপক্ষে ৩৩ শতাংশ নারী থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০২০ সালের মধ্যে এই শর্ত পূরণে অঙ্গীকার করে নির্বাচন কমিশন (ইসি) থেকে নিবন্ধন নিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। দুই বছর আগেই এই শর্তের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে ৩৩ শতাংশ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি কোনো দলই। তবে এক্ষেত্রে অন্যান্য দলের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন দল।
আওয়ামী লীগের ৮১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটির মধ্যে দুটি পদ এখন ফাঁকা আছে। বাকি ৭৯ পদের মধ্যে ২৪ শতাংশ নারী রয়েছে।
আওয়ামী লীগে নারীদের জন্য তিনটি আলাদা সংগঠন রয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, মহিলা শ্রমিক লীগ দলটির শুরু নারীভিত্তিক সংগঠন। আবার মহিলা বিষয়ক উপ-কমিটিও রয়েছে। এই সংখ্যা ধরা হলে আওয়ামী লীগে নারীর অংশগ্রহণ চোখে পড়ার মতো।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান ঢাকা মেইলকে বলেন, ‘আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটিতে ২৩ থেকে ২৪ শতাংশ নারী আছেন। যা দেশের যেকোনো রাজনৈতিক দলের মধ্যে সর্বোচ্চ।’
রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ নারীর অধিকার বলে মনে করেন কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার। ঢাকা মেইলের সঙ্গে আলাপকালে সাবেক এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘নারীদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বলেন, অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন বলেন সবকিছুই কিন্তু নারীর অধিকার। সেটা হচ্ছে আমাদের সংবিধান স্বীকৃত। বঙ্গবন্ধু আমাদের সংবিধানে নারী-পুরুষ সম অধিকারের কথা বলেছেন। প্রতি বছর ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করা হয়। এ দিনে পাওয়া, না পাওয়ার একটা সমীকরণ করা হয়। কিন্তু আমরা তো সামাজিকভাবে এখনো পিছিয়ে আছি।’
বিজ্ঞাপন
নারীর অংশগ্রহণে আওয়ামী লীগ সবচেয়ে এগিয়ে আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘রাজনীতির কথা যদি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী সব রাজনৈতিক দলের চাইতে অনেক বেশি এগিয়ে। জাতির জনকের সংগঠন, আদর্শের সংগঠন এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নারী উন্নয়ন নীতিমালা যেটা উনি করেছেন। ২০১১ সালে এটা পাস হয়।’
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাবেক সদস্য তিলোত্তমা সিকদার মনে করেন, আওয়ামী লীগ শুধু খাতা কলমে নয়, বাস্তবেও নারীদের গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা মেইলকে তিলোত্তমা বলেন, ‘নারী হিসেবে গুরুত্ব দেওয়া হয়, এটা যে শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ না বা কোনো সংগঠনের মধ্যে সীমাবদ্ধ না, এর প্রমাণ আমরা বহুভাবেই পেয়ে থাকি। কারণ আমরা যখন দেখি নারীর ক্ষমতায়নে আমাদের দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশের জন্য সপ্তম স্থান অর্জন করে এনেছেন। এটা আমাদেরকে গর্বিত করে। নিজের জায়গা থেকে নিজেদেরই আরও এগিয়ে আসা উচিত এই নারীর জয়গানকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।’
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিসহ সংগঠনিক অন্যান্য কমিটিতেও উল্লেখযোগ্য হারে নারীর অংশগ্রহণ রয়েছে। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়ানো দরকার বলে মনে করেন নারী নেত্রীরা।
কারই/জেবি































