রোববার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫, ঢাকা

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল ২০২৩, ০৩:২২ পিএম

শেয়ার করুন:

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডা. জাফরুল্লাহর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইমামতি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব সৈয়দ এমদাদ উদ্দিন।

এটি তার তৃতীয় নামাজে জানাজা। এর আগে সকালে তার নিজ বাসভবনের সামনে প্রথম এবং তার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দ্বিতীয় দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।


বিজ্ঞাপন


পরিবারের পক্ষ থেকে ছেলে পরিবেশবিদ বারিস চৌধুরী বলেন, তিনি একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। কিন্তু বিজয়ের মাধ্যমে তার যুদ্ধ শেষ হয়নি। তার কাছে সব থেকে বড় ছিল দেশ ও দেশের মানুষের অধিকার। তিনি আমৃত্যু তার জন্য কাজ করে গেছেন। আমাদেরও তাই করে যেতে বলেছেন।

ja

লাশ দাফন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার বাবার ইচ্ছা ছিলো তার লাশ যেন চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য দান করে দেওয়া হয়। তার সন্তান হিসেবে বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী লাশ দান করতে চেয়েছিলাম। এর জন্য গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের সঙ্গে আলোচনা করেছি। কিন্তু তার প্রতি সম্মান রেখে কোনো হাসপাতালই তার লাশ কাটাকাটি করতে রাজি হয়নি।  তাই সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রে তার লাশ দাফন করা হবে।

বাবার পক্ষে ক্ষমা প্রার্থনা করে তিনি বলেন, আমার বাবা মারা গিয়েছে। যদি তিনি কোনো অন্যায় করে থাকেন তবে আমাদের কাছে জানাবেন। যদি তার কাছে কারো ঋণ পাওনা থাকে তাহলে পরিবারের কাছে জানাবেন।


বিজ্ঞাপন


এরপর তার মরদেহ সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। 

শহীদ মিনারে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।  

jaf

শ্রদ্ধা জানাতে এসে বিশিষ্ট রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও কবি ফরহাদ মজহার বলেন, তরুণদের কাছে আমার আবেদন থাকবে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবন থেকে আমাদের জীবনবোধ সম্পর্কে শেখার আছে। জীবন বলতে কি বোঝায় তা তিনি শিখিয়েছেন। বাংলাদেশকে গড়ে তোলা এবং নতুনভাবে গড়ে তোলা, স্বাস্থ্য ও পুষ্টি সমস্যার সমাধান করা, নদীগুলো উদ্ধার করা, বিষ ব্যবহার বন্ধ করা, বাংলাদেশের জন্য যা কিছু ক্ষতিকর সেগুলো বন্ধ করাই ছিলো তার আদর্শ। সেটাই ছিলো মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের আরেকটি অংশ৷

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, তিনি আমাদের চেয়ে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ছিলেন, অসুস্থ ছিলেন। কিন্তু তারপরও যে কোনো সরকারের আমলে যেকোনো অন্যায় এবং অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর হিসেবে সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তার অবস্থান দেখে, আমাদের ইতস্তত লাগত, লজ্জা লাগত। এই ভেবে যে তিনি অসুস্থ অবস্থায়, এত প্রতিকূল অবস্থায় এরকম প্রতিবাদী থাকতে পারেন, তাহলে আমরা কেন সত্য ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে পারব না।

এমএইচ/এমএইচএম

ঢাকা মেইলের খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

টাইমলাইন

সর্বশেষ
জনপ্রিয়

সব খবর